# অবকাঠামো খাতে গুরুত্ব
# সড়কে চলবে না ইজিবাইক
# ভেঙ্গে ফেলা হবে নকশা বহির্ভূত ভবন
নিজস্ব প্রতিবেদক //
নতুন কোন করারোপ না করে কেবল বাদ পড়া বাড়িগুলো করের আওতায় আনা এবং বিজ্ঞাপন কর আদায়ে বিশেষ নজরের তাগিদ দিয়ে কুমিল্লা নগরীর অবকাঠামোগত উন্নয়ন ও নাগরিক সুবিধার ভবিষ্যত পরিকল্পনার রূপরেখাকে সামনে রেখে কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের (কুসিক) ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রস্তাবিত ১ হাজার ৪৪ কোটি ৫০ লাখ ৮৩ হাজার ৪৬৪ টাকার বাজেট ঘোষণা করা হয়েছে। বাজেটে উন্নয়ন খাতে সর্বোচ্চ ব্যয় ধরা হয়েছে ৯শ ৫৮ কোটি ৮৬ লাখ ৫৯ হাজার ৭৮৩ টাকা।
রবিবার (৩০জুন) বেলা ১২টায় নগরভবনের অতীন্দ্র মোহন রায় সম্মেলন কক্ষে মেয়র ডা. তাহসীন বাহার সূচনা ওই বাজেট ঘোষণা করেন। এসময় সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ছামসুল আলম, প্যানেল মেয়র হাবিবুর আলআমিন সাদি, মনজুর কাদের মনি ও কাউছারা বেগম সুমি এবং কুসিকের হিসাব শাখার কর্মকর্তা সহ সকল ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ও প্রিন্ট-ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন। কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের প্রধান হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা মোঃ মাসুদুর রহমান ঘোষিত বাজেটের সার সংক্ষেপ তুলে ধরেন।
বাজেট ঘোষণা শেষে উন্মুক্ত আলোচনায় সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে মেয়র ডা. তাহসীন বাহার সূচনা বলেন, এবারের বাজেটে নগরবাসীর উপর কোন প্রকার নতুন করারোপ না করে অবকাঠামোগত উন্নয়ন খাতে সমানভাবেই ব্যাপক গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। রাস্তাঘাট, ড্রেন,ফুটপাতসহ অবকাঠামো উন্নয়ন খাতে ২০২২ সালের জানুয়ারি থেকে চলতি বছরের ডিসেম্বর পর্যন্ত ১ হাজার ৫৩৮ কোটি ১০ লাখ ৪৪ হাজার টাকার উন্নয়ন কাজ চলমান রয়েছে। আমার নির্বাচনী প্রতিশ্রæতি অনুয়ায়ি নগরীর যানজট ও জলাবদ্ধতা নিরসনে পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
মেয়র বলেন, সিটি করপোরেশন কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্ত নিয়েছে ১ জুলাই হতে নগরীতে ইজিবাইক চলাচল করতে পারবে না। শুধুমাত্র দুই আসন বিশিষ্ট মিশুক, প্যাডেলচালিত রিকশা ও সিএনজি অটোরিকশা চলাচল করতে পারবে। এই সিদ্ধান্তকে সামনে রেখে সিটি করপোরেশনের অনুমোদিত লাইসেন্স দেওয়া হবে। নগরীর বহুতল বাণিজ্যিক ভবনের বেইজমেন্ট পার্কিং ব্যবস্থার জন্য চালু রাখতে হবে। অন্যথায় কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
তিনি বলেন, জলাবদ্ধতা নিরসনে ড্রেন ও ফুটপাত নির্মাণ কাজ চলছে এবং সিটি করপোরেশনের নিজস্ব অর্থায়নে ক্রাশ প্রোগ্রামের মাধ্যমে খাল খননের ওপরও গুরুত্ব দেওয়ায় নগরীতে জলাবদ্ধতা সীমিত পর্যায়ে নেমে এসেছে। নগরীতে নকশা বহির্ভূত ভবনের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যে নকশা বর্হিভূত ভবন ভেঙে ফেলা হচ্ছে।
মেয়র বলেন, ২০২৪-২৫ অর্থবছরে সিটি করপোরেশনের ২শ ৫৬ কোটি টাকার উন্নয়ন কাজ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। এসব প্রকল্পের আওতায় আলেখারচরে আধুনিক বাস টার্মিনাল নির্মাণ, জাঙ্গালিয়া বাস টার্মিনাল সম্প্রসারণ ধর্মসাগর দিঘীর চার পাড় সংস্কার করে ওয়াকওয়ে নির্মাণ। পুরাতন গোমতী নদীকে হাতিরঝিলের আদলে উন্নয়ন করা হবে।
মেয়র তাহসীন বাহার বলেন, আমি প্রতিহিংসার রাজনীতিতে বিশ্বাস করিনা।সত্যিকার গণতন্ত্র ও মতপ্রকাশে বিশ্বাসী। সিটি করপোরেশনের কার্যক্রম পরিচালনায় স্বচ্ছতা ও জবাবদিহীতা নিশ্চিত করতে চাই। তাই বিভিন্ন প্রতিবন্ধকতা মোকাবেলা করে কুমিল্লা সিটি করপোরেশনকে একটি আধুনিক বাসযোগ্য স্মার্ট নগরী হিসেবে গড়ে তুলতে নগরবাসীর সহযোগিতা কামনা করছি।