এরই ধারাবাহিকতায় অদ্য ১৮ অক্টোবর ২০২৪ তারিখ র্যাব-১০ এর একটি আভিযানিক দল গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে জানতে পারে যে, কতিপয় মাদক ব্যবসায়ী দেশের পূর্বাঞ্চল হতে বিপুল পরিমান মাদকদ্রব্যের চালান নিয়ে একটি পিকআপ যোগে রাজধানী ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা করেছে। উক্ত সংবাদ প্রাপ্তির পর র্যাব-১০ এর আভিযানিক দলটি তাৎক্ষনিক রাজধানীর ডেমরা থানাধীন সারুলিয়া ডেমরা চৌরাস্তা এলাকায় অবস্থান করে একটি অস্থায়ী চেকপোস্ট স্থাপন করে এবং সন্দেহজনক গাড়ী তল্লাশী করতে থাকে। তল্লাশীর একপর্যায়ে একই তারিখ সকাল ১১:০০ ঘটিকায় সন্দিগ্ধ পিকআপটি র্যাবের চেকপোষ্টের সামনে পৌঁছানো মাত্র কর্তব্যরত র্যাব সদস্যরা পিকআপটিকে সিগন্যাল দিলে পিকআপের চালক পিকআপটি থামায়। অতঃপর র্যাব সদস্যরা উক্ত পিকআপে থাকা ০২ জন আরোহীদের জিজ্ঞাসাবাদ করলে জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে তারা স্বীকার করে যে, তাদের পিকআপে গাঁজা আছে। পরবর্তীতে কর্তব্যরত র্যাব সদস্যরা বিধি মোতাবেক তল্লাশী করে গ্রেফতারকৃত আসামীদের দেখানো ও বের করে দেওয়া উক্ত পিকআপের পিছনে রক্ষিত আনুমানিক ১২,০০,০০০/- (বারো লক্ষ) টাকা মূল্যমানের ৪০ (চল্লিশ) কেজি গাঁজাসহ ০২ জন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারকৃত আসামীদের নাম ১। মোঃ খলিল মিয়া (৩৭), পিতা-মোঃ ফারুক মিয়া, সাং-ধনকুরা, থানা-মাধবপুর, জেলা-হবিগঞ্জ ও ২। মোঃ হাসান শিকদার (২৪), পিতা-মোঃ নুরুজ্জামান, সাং-বেড়নবাড়ীয়া, থানা-নলছিটি, জেলা-ঝালকাঠি বলে জানা যায়। এ সময় তাদের নিকট হতে মাদক বহনে ব্যবহৃত ০১টি পিকআপ জব্দ করা হয়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় যে, গ্রেফতারকৃত আসামীদ্বয় পেশাদার মাদক ব্যবসায়ী। তারা বেশ কিছুদিন যাবৎ দেশের বিভিন্ন সীমান্তবর্তী এলাকা হতে অবৈধ পন্থায় গাঁজাসহ অন্যান্য মাদকদ্রব্য সংগ্রহ করে রাজধানী ঢাকাসহ আশপাশের বিভিন্ন জেলায় সরবরাহ করে আসছিল।
গ্রেফতারকৃত আসামীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।