কুমিল্লা সদর দক্ষিণ এলাকায় সহকারী কমিশনার ভূমি (এসিল্যান্ড) ও ভূমি অফিসের চারজনের ওপর হামলা চালিয়েছে দুর্বৃত্তরা। এ সময় হামলাকারীরা
এসিল্যান্ড সৈয়দ রেফাঈ আবিদকে গালমন্দ ও সঙ্গে থাকা তিনজনকে হামলা করে আহত করে তারা।
শুক্রবার রাত ১১ টা ৪৫ মিনিটের সময় উপজেলার পূর্ব জোড়কানন মথুরাপুর বাজার সংলগ্ন পশ্চিম এলাকায় এ হামলার ঘটনা ঘটায়।
আহতরা হলেন, উপজেলা ভূমি সার্টিফিকেট পেশকার আবুল হাসান, এসিল্যান্ড অফিসের নাইটগার্ড শরিফুল ইসলাম সবুজ, ড্রাইভার দেলোয়ার হোসেন।
এ ঘটনায় শনিবার বিকেলে উপজেলা ভূমি সার্টিফিকেট পেশকার আবুল হাসান সদর দক্ষিণ মডেল থানায় ২৪ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও ৩০ থেকে ৩৫ জনকে আসামি করে মামলা করেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার পূর্ব জোড়কানন মথুরাপুর বাজারের পশ্চিম পাশসহ সদর দক্ষিণের প্রায় ১৫/১৭ টি স্পটপ প্রভাবশালীরা প্রতিনিয়ত মাটি কাটছে। প্রতিদিন অর্ধশত ট্রাকে মাটি বিভিন্ন জায়গায় বিক্রি করে তারা লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। পুলিশ প্রশাসন ম্যানেজ করে এসব মাটি কাটা চলছে। এতে রাস্তাঘাটের ব্যাপক ক্ষতি হলেও প্রশাসন নির্বিকার। এতে বর্ষাকালে মাটি সরে গিয়ে রাস্তাঘাট ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে। মাটি কাটার খবর পেয়ে টানা অভিযানের অংশ হিসেবে শুক্রবার রাতে এসিল্যান্ড সৈয়দ রেফাঈ আবিদ শুয়াগাজী বাজার নিকটবর্তী এলাকায় রাতে ৩ টি ট্রাক জব্দ করে। পরে মথুরাপুর বাজারের পশ্চিম এলাকায় আরেকটি অভিযানে গেলে পূর্বপরিকল্পিতভাবে ২৫-৩০ টি মোটরসাইকেলে ৬০/৭০জন দুর্বৃত্তরা গালমন্দ করে সরকারি কাজে বাধা দেয় ও তাদের ওপর হামলা করে।
নাইটগার্ড শরিফুল ইসলাম সবুজ বলেন, ট্রাক্টর আটক করা ও জরিমানার পর এসিল্যান্ড স্যার মথুরাপুর বাজারের নিকটবর্তী এলাকায় আসলে ২৫ থেকে ৩০ টি মোটরসাইকেলে ৬০/৭০ জন লোক ঘিরে রেখে স্যারকে গালাগালি করে পরে আমাদের ওপর হামলা করে।
এসিল্যান্ডের গাড়িচালক দেলোয়ার হোসেন জানান, তারা দলবদ্ধ হয়ে আমাদের উপর হামলা করে। সকলের মুখ বাধা ছিলো, তাই কাউকে চিনতে পারিনি। থানার ওসি তদন্ত স্যারসহ আরও পুলিশ গেলে সবাই পালিয়ে যায়।
সদর দক্ষিণ মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ রফিকুল ইসলাম জানান, ঘটনাটি দুঃখজনক। এজাহার অনুযায়ী আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
সদর দক্ষিণ উপজেলার সহকারী কমিশনার ভূমি (এসিল্যান্ড) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সৈয়দ রেফাঈ আবিদ বলেন, ঘটনার রাতেই ৩টি গাড়ি জব্দ করার পর আরেকটি অভিযানে গেলে সেখানে দুর্বৃত্তরা হামলা করে। তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সদর দক্ষিণ উপজেলার নির্বাহী অফিসার রুবাইয়া খানম বলেন, ট্রাক্টর তিনটি এখন প্রশাসনের হেফাজতে রয়েছে। জেলা প্রশাসক স্যারের নির্দেশনায় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন কার্যক্রম হচ্ছে। আর এটা নিয়মিত মামলা চলমান থাকবে।
কুমিল্লা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আমিরুল কায়ছার বলেন, ঘটনার বিষয়ে জেনে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
© www.newsnewstbd.com
নিউজনেস্ট