রাজধানীর যাত্রাবাড়ী এলাকা হতে মোটা অংকের চাঁদা আদায়ের উদ্দেশ্যে অপহৃত পাটেরবাগ জামে মসজিদের ইমাম হাফেজ সোলাইমান হাওলাদারকে উদ্ধার এবং অপহরণকারী দাদন (৪০)’কে ফরিদপুরের সদরপুর এলাকা হতে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১০।
রাজধানীর যাত্রাবাড়ী থানাধীন ধনিয়া এলাকায় ভাড়াটিয়া বাসায় বসবাসকারী হাফেজ মোঃ সোলাইমান হাওলাদার (৪৮), পিতা-আব্দুস সোবাহান হাওলাদার, তিনি দীর্ঘদিন যাবৎ যাত্রাবাড়ী থানাধীন পাটেরবাগ জামে মসজিদে ইমামতি করে জীবিকা নির্বাহ করে আসছেন। গত ০৬/১১/২০২৪ তারিখ সকাল ১০:০০ মিনিটে বাজার/সদায় করার জন্য বাসা থেকে বের হন। অতঃপর ঐদিন বিকাল ০৪:৩০ মিনিটে সোলাইমানের বাবা ও মায়ের মোবাইল ফোনে দাদন নামক এক ব্যক্তি ফোন করে জানায় যে, সে ও অজ্ঞাত আসামীরা সোলাইমানকে অপহরণ করে একটি অজ্ঞাত স্থানে আটক করে রেখেছে এবং সোলাইমানের মুক্তিপণ হিসেবে ৬০,০০,০০০/- (ষাট লক্ষ) টাকা দাবী করে। দাবীকৃত টাকা না দিলে তারা ভিকটিম সোলাইমানকে প্রাণে মেরে ফেলকে বলে হুমকি প্রদান করে ফোন রেখে দেয়। অতঃপর ভিকটিম সোলাইমানের স্ত্রী বাদী হয়ে রাজধানীর পল্টন থানায় ভিকটিম সোলাইমানকে অপহরণের দায়ে আসামী দাদন (৪০)সহ অজ্ঞাতনামা আরো ৩/৪ জনের বিরুদ্ধে একটি অপহরণ মামলা দায়ের করেন। যার মামলা নম্বর-০৬, তারিখ-০৭/১১/২০২৪ খ্রিঃ তারিখ, ধারা-৩৬৫/৩৮৫/৩৪ দন্ড বিধি।
উল্লেখিত অপহরণের বিষয়টি জানতে পেরে র্যাব-১০, সিপিসি-৩ ফরিদপুর ক্যাম্পের একটি আভিযানিক দল অপহৃত ভিকটিম সোলাইমানকে দ্রুত উদ্ধার ও অপহরণকারীদের গ্রেফতারের লক্ষ্যে গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি ও ছায়া তদন্ত শুরু করে।
এরই ধারাবাহিকতায় গতকাল ১৪/১১/২০২৪ খ্রিঃ তারিখ বিকাল ০৫:০০ মিনিটে র্যাব-১০, সিপিসি-৩ ফরিদপুর ক্যাম্পের উক্ত আভিযানিক দল গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে ও তথ্য-প্রযুক্তির সহায়তায় ফরিদপুর জেলার সদরপুর থানাধীন এলাকায় একটি অভিযান পরিচালনা করে। উক্ত অভিযানে রাজধানীর যাত্রাবাড়ী এলাকা হতে মোটা অংকের চাঁদা আদায়ের উদ্দেশ্যে অপহৃত ভিকটিম সোলাইমানকে অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করতঃ অপহরণকারী চক্রের মূলহোতা ১। দাদন হাওলাদার (৪০), পিতা-মৃত কোরবান হাওলাদার, সাং-মুন্সিগ্রাম, থানা-সদরপুর, জেলা-ফরিদপুর ও তার প্রধান সহযোগী ২। মোঃ বাকি হোসেন (৩৫), পিতা-মৃত মতি মাতুব্বর, সাং-পুকুরহাটি, থানা-ভাঙ্গা, জেলা-ফরিদপুর’কে গ্রেফতার করে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃত আসামীরা ভিকটিম সোলাইমানকে মোটা অংকের চাঁদা আদায়ের উদ্দেশ্যে অপহরণ করেছিল বলে স্বীকার করে।
গ্রেফতারকৃত আসামীদেরকে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।