কুমিল্লা আদর্শ সদরে ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে কিশোর গ্যাংয়ের ছুরিকাঘাতের দু’দফা হামলায় রণক্ষেত্র বাখরাবাদ গ্যাস আদর্শ বিদ্যালয় মাঠ। কিশোর গ্যাংয়ের ছুরিকাঘাতে ৭ জন আহত হওয়ার ঘটনা ঘটে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছলেই পালিয়ে যায় কিশোর গ্যাং সদস্যরা।
শনিবার (২৩ নভেম্বর) দুপুরে উপজেলার জগন্নাথপুর ইউনিয়নের বাখরাবাদ গ্যাস আদর্শ বিদ্যালয় মাঠে এ ঘটনা ঘটে। জানা যায়, শনিবার সকাল ১১ টায় বাখরাবাদ গ্যাস আদর্শ বিদ্যালয় মাঠে চাপাপুর এলাকার কয়েকজন ছেলে ফুটবল খেলতেছিলো। এমন সময় কিশোর গ্যাং সদস্য ছোটনের নেতৃত্বে সায়েম, আরাফাত, নিরব, সামির, কাঠ দোকানদার আনোয়ারসহ ১৫/২০ জন মাঠে এসে সবাইকে চলে যেতে বলে। তাদের হাতে ছিলো রামদা ও বিদেশী অস্ত্র, তা দেখে সকলে ভয়ে মাঠ ছেড়ে দেয়। মাঠ ছাড়তে দেরি হওয়ায় তাদের হাতে থাকা রামদা ও বিদেশী অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপাতে থাকে। আশপাশের মানুষ এগিয়ে আসলে পুরো মাঠ রণক্ষেত্রে পরিনত হয়। পরে সেনাবাহিনী ঘটনাস্থলে আসলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। এ ঘটনায় ৭ জন ছেলে আহত হয়। আহতদের কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। আহতরা হলেন, চাঁপাপুর এলাকার রেজাউলের ছেলে রুপম (১৫), ধনপুর এলাকার ও কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সর্দার বিল্লালের ছেলে নাজমুল (১৭), চাঁপাপুর এলাকার আরিফুর রহমান আরবের ছেলে জিসান (১৭) ও তার ছোট ভাই আরাফাত (১৬), পেয়ার মিয়ার ছেলে সুজন (৩০)নোয়াব মিয়ার ছেলে অপু (২০), দ্বীন মোহাম্মদের ছেলে সালাউদ্দিন (৩৮)।
আহত নাজমুল বলেন, মাঠ ছাড়তে একটু দেরি হওয়ায় কিশোরগ্যাং এর লিডার সায়েমসহ তারা সুইচ গেয়ার দিয়ে আমাদেরকে এলোপাতাড়ি কুপায়। আমরা তাদের গ্রেফতার করে এর বিচার চাই।
কুমিল্লা কোতয়ালী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মহিনুল ইসলাম বলেন, প্রাথমিকভাবে জানতে পেরেছি হামলাকারীরা কিশোর গ্যাং। ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে কথা কাটাকাটি হয়। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ছুরিকাঘাতের ঘটনা ঘটে। পরে সেনাবাহিনীসহ ৩ বাহিনীর সহযোগিতায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। হামলাকারীদের গ্রেফতার করতে আমাদের অভিযান চলছে।