অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ তুলে নবীগঞ্জ সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ মো. ফজলুর রহমানের পদত্যাগের দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি পালন করে শিক্ষার্থীরা। এদিকে নিখোঁজের দুই দিন পর ওই অধ্যক্ষের মরদেহ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাওয়া গেছে। তবে তাঁর মৃত্যুর সঠিক কারণ এখনও জানা যায়নি।
গতকাল রোববার সন্ধ্যা ৭টার দিকে নবীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামাল হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, গতকাল রোববার ঢাকার শাহবাগ থানা-পুলিশ অজ্ঞাত একটি মরদেহের সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করে ঢামেক হাসপাতালের মর্গে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়।
কামাল হোসেন আরও বলেন, ‘সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অজ্ঞাতনামা মরদেহের ছবি প্রকাশ হলে নিখোঁজের দুই দিন পর ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নবীগঞ্জ সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ ফজলুর রহমানের মরদেহ পাওয়া গেছে বলে আমরা নিশ্চিত হতে পারি। তবে কী কারণে বা কীভাবে তিনি মারা গেছেন তা ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে জানা যাবে। এ বিষয়ে আইনি প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।’
নিহত অধ্যক্ষের স্ত্রী সৈয়দা সুলতানা আক্তার বলেন, ‘গত ১৮ অক্টোবর শুক্রবার থেকে নিখোঁজ ছিলেন আমার স্বামী। শুক্রবার সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় তাঁর বোনের বাড়ি যাওয়ার উদ্দেশ্যে রওনা দেন তিনি। এরপর থেকে তাঁর সন্ধান মিলছে না।’
অনেক খোঁজাখুঁজির পর রোববার সকালে কলেজে উপস্থিত হয়ে শিক্ষকদের বিষয়টি অবগত করেন সৈয়দা সুলতানা আক্তার। পরে নিখোঁজের বিষয়ে নবীগঞ্জ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করা হয়।
সৈয়দা সুলতানা আক্তার আরও জানান, গতকাল সন্ধ্যার পর মরদেহ আনার জন্য তাঁর ভাগ্নে এবং ছেলেরা ঢাকায় গেছেন। এখনও আসেনি তাঁরা।
এদিকে অধ্যক্ষ মো. ফজলুর রহমানের মৃত্যুর খবরে পরিবার ও ছাত্র-শিক্ষকসহ সর্বমহলে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। মৃত্যুর সঠিক কারণ নির্ণয়ে সুষ্ঠু তদন্তের দাবি করেছেন তাঁর সহকর্মীরা।