ধর্মদ্রোহী ও আন্তর্জাতিক অপরাধে অপরাধী কেন হবেন না অপপ্রচারে লিপ্ত ভারতীয় গণমাধ্যম? সম্প্রদায়ী বাংলাদেশে চলমান ইস্যু নিয়ে অপপ্রচারে লিপ্ত হয়েছেন ইন্ডিয়ান বেশিরভাগ মিডিয়া। ছাত্র আন্দোলনের গণঅভ্যুত্থানের তোপের মুখে পরে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ৫-ই আগস্ট ২০২৪ইং তারিখে বাংলাদেশ ছেড়ে ইন্ডিয়াতে পালিয়ে যায়, ছাত্র আন্দোলনে যোগ দিয়েছিলেন দেশের সকল শ্রেণির মানুষ। সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ভারতে আশ্রয় দিয়ে রেখেছেন বলেও ভারতীয় বিভিন্ন গণমাধ্যম এই সংবাদ প্রচার করেন৷ বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়ার বক্তব্য থেকে যা জানা গিয়েছে শেখ হাসিনার ইতিমধ্যে তার ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে কিন্তু তার পরেও ভারত সরকার শেখ হাসিনাকে অবৈধ ভাবেই আশ্রয় দিয়ে রেখেছেন বলে ভারতের ক্ষমতা প্রাপ্ত সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বার বার বলেই যাচ্ছেন। এছাড়াও শেখ হাসিনাকে আশ্রয় দেওয়া নিয়ে ইন্ডিয়ায় ক্ষমতাপ্রাপ্তদের মধ্যে অনেকেই বিজেপি মুদি সরকারের বিরোধিতা করেছেন। শেখ হাসিনা বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী এটি বাংলাদেশের ইস্যু অবৈধ ভাবে কেন আশ্রয় দিয়ে রেখেছেন এই নিয়েও অনেকের প্রশ্ন ছুড়ে দিলেও মুদি সরকারের পক্ষ থেকে কোন প্রকার বিবৃতি পাওয়া যায়নি! বরং পাল্টা বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয় নিয়ে বাংলাদেশে নৈরাজ্য সৃষ্টি করার চেষ্টা চালাচ্ছেন রীতিমতো কোপা প্রোপাগান্ডা ছড়াচ্ছেন ভারতীয় মিডিয়া গুলি।
সম্প্রতি হিন্দু ধর্মীয় ইসকন প্রভু চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের বিভ্রান্তিমূলক এক বক্তব্য নিয়ে তাকে গ্রেফতারের পর থেকেই উক্ত বিষয়কে হাতিয়ার বানিয়ে ইন্ডিয়া থেকে নানান দিকনির্দেশনায় বাংলাদেশের বিরুদ্ধে কোপা প্রোপাগান্ডা লিপ্ত হয়েছেন ইসকনের সাথে আওয়ামিলীগ নেতা কর্মীরাও। ইসকন প্রভু চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে গ্রেফতার করে চট্টগ্রাম আদালতে উঠানোর সময়ে রাস্তা বন্ধ করে আন্দোলনের তোপের মুখে ফেলে দিয়েছিলেন প্রশাসনকে শুধু তাই নহে ইসকন অনুসারীরা সহ তাদের আওয়ামীলীগ কর্মীরাও একত্রিত হয়ে এড. সাইফুল ইসলাম আলিফ”কে কুপিয়ে হত্যা করেছেন উক্ত হত্যাকাণ্ডের একটি ভিডিও ফুটেজ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের ভাইরাল হয়েছে। আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ইন্ডিয়া দুঃখ প্রকাশ না করে বরং ভারতীয় মিডিয়া গুলি মিথ্যা বিভ্রান্ত মুলক সংবাদ প্রকাশ করে অরজগতা সৃষ্টি করছেন! শুধু তাই নয় ইন্ডিয়া বাংলাদেশের মধ্যে যেন এক প্রকার যুদ্ধ ঘোষণা করেছেন ভারতীয় মিডিয়া গুলো। কিন্তু বাংলাদেশের ইসকনের নেতারা প্রভু চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে গ্রেফতারের পর সংবাদ সম্মেলন করে ইতোমধ্যে ঘোষণা দিয়েছেন ইসকন প্রভু চিন্ময় কৃষ্ণ দাস এই নেতাকে সংগঠন থেকে অনেক আগেই বহিস্কার করা হয়েছেন তার বিরুদ্ধে নানান অভিযোগ এর কারনে এই বিষয় কেন আমলে নিচ্ছেন না ইসকন সম্প্রদায়ের এবং ভারতীয় সরকার ও ভারতীয় গণমাধ্যম! নাকি ধর্মীয় প্রোপাগাণ্ডার সাথে লিপ্ত হয়েছেন ভারতীয় গণমাধ্যম গুলো?
ইন্ডিয়া সরকার বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনাকে আশ্রয় দিয়ে রেখে এত ক্ষান্ত হয়নি নাকি আবারো স্বৈরাচার সরকারকে ক্ষমতায় স্থাপন করার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছেন। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ দলের বড় বড় নেতারা বিদেশে পালিয়ে গেল তাদের কর্মীদের কথা একবারও ভাবেনি তাদের জীবনের কথাও ভাবেনি আওয়ামী লীগ এখন রূপান্তরিত হয়েছে এতিম লীগে। এতিম হয়েছেন তাদের কর্মীরাও। ভারতীয় মিডিয়া সহ ভারতীয় রাজ্যের হিন্দুত্ববাদীর মিডিয়া গুলি প্রোপাগান্ডা ছড়াচ্ছেন পুরাতন বিভিন্ন স্থানের ছবি ও ভিডিও দুটেজ দিয়ে যার তথ্যের কোন ভিত্তি কিংবা সত্যতা নেই। বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে ১৭ বছর শাসন করেছিলেন। সেই ১৭ বছরে মন্দিরে হামলা ভাঙচুর, মন্দিরের পূজার সময় কোরআন রাখা মতন ঘটনা সহ হিন্দু হত্যার কোন বিচার করেনি এমন অনেক নজির রয়েছেন বাংলাদেশে। আওয়ামি লীগ সরকারের আমলে প্রত্যেক পূজার সময় কোন না কোন প্রোপাগাণ্ড ঘটাতেন আওয়ামী পন্থী লোকেরাই। বাংলাদেশের ইতিহাসে নজির বর্তমান অস্থায়ী সরকার হয়েও ক্ষমতায় আসার সাথে সাথে পূজা উৎসব আসলেও সরকার আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীদের কে দিয়ে কঠোর নিরাপত্তায় পূজার উৎসব বাস্তবায়ন করেছিলেন। শুধু তাই নয় মুসলিম আলেম সহ অসংখ্য মুসলিকদেরকে আওয়ামী লীগ জঙ্গিবাদীত্বের তকমা দিয়ে ফাঁসিও দিয়েছিলেন কারাগারে বন্দী করেছিলেন অসংখ্য ইসলাম পন্থীদেরকে। সেই মুসলিম দাড়ি-টুপি ওয়ালারাই মন্দির পাহারা দিয়েছিলেন হিন্দুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করেছিলেন বর্তমান এই অন্তর্বর্তী সরকারের সময়। সংখ্যালঘুদের উপর হামলার ঘটনা ঘটেনি বা কারো মন মানসিকতাটাই তেমন ছিল না। এখন কেন সংখ্যালঘুদের উপর হামলা হতে যাবে? বাংলাদেশে অবস্থিত বর্তমান পরিস্থিতিতে সংখ্যালঘুরাই বলছেন তারা আগের চেয়ে অনেক ভালো আছেন বলেই বলছেন। উক্ত বিষয়ে গত সাত দিন যাবৎ সারা বাংলাদেশে বিভিন্ন এলাকায় আমাদের সাংবাদিক টিম কাজ করে এমন একটা অভিযোগ পাওয়া যায়নি যে সংখ্যালঘুরা ভালো নেই কিংবা তাদের উপরে হামলা হচ্ছে বরং কিছু কিছু সংখ্যালঘুদের উপরে হামলার যে ঘটনা ঘটেছিল সেটি আওয়ামী সরকার দেশ ছেড়ে পালানোর পরে যদিও সেটি একটা বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটেছিল কিন্তু সেটি ছিল রাজনৈতিক কোন্দল এর কারন। মানে হলো হিন্দুদের মধ্যে যারা আওয়ামী লীগ করতেন এবং বড় বড় পদ-পদবি বহন করে ছিলেন শুধুমাত্র তাদের উপরে হামলা হয়েছিল। রাজনৈতিক কারণে যদি হামলা হয় সেটা কেন সংখ্যালঘু বলে প্রশ্ন আসবে? তাহলে সংখ্যালঘুদের ঠিক করে নিতে হবে সংখ্যালঘুরা রাজনীতি করতে পারবে না আর যদি রাজনৈতিক কারণে হামলার শিকার হয় সংখ্যালঘু বলে ধর্মীয় বিষয় দিয়ে চালানো হবে কেন!
গত বছর কয়েক আগে পিছনে ফিরে গেলে সম্প্রতি সময়ে কুমিল্লায় মন্দিরে কোরআন রাখার মত ঘটনা ঘটেছিল তাও আবার আওয়ামী লীগের সাবেক এমপি বাহারের বাড়ির পাশেই এমন ঘটনা। এমপি বাহার তার পরের বছরই আবার বিতর্কিতমূলক বক্তব্য দিয়েছিলেন যে পূজায় মদ-পান যেন কেহ না করে। সংখ্যালঘুদের”কে নিয়ে তখন তো ইন্ডিয়া কিংবা তাদের মিডিয়াগুলি প্রতিবাদ করেনি যুদ্ধ ঘোষণাও দেয়নি মিডিয়াগুলি। কিন্তু বাংলাদেশের মুসলিমরা কখনো বলেনি যে ইন্ডিয়া মুসলিম সংখ্যালঘুদের উপর হামলা হচ্ছে । ভারতে মুসলিম সংখ্যালঘুদের বাড়িঘর বুলড ড্রেজার দিয়ে ঘুরিয়ে দেওয়া হচ্ছে, তাদের উৎসবে পালন করার সময়ও অনেক মুসলিমদের কে হিন্দুত্ববাদী সন্ত্রাসীরা বিভিন্নভাবে হত্যা করেছেন তাদের ধর্মের পরিপন্থী উৎসব বলেও। ইন্ডিয়া এমনও ঘটনা ঘটেছে সংখ্যালঘু ও মুসলিম নারীদেরকে প্রকাশ্যে উলঙ্গ করে মাইলের পর মাইল ঘুরানো হয়েছিল সেই প্রতিবাদ করতে গিয়ে সেই নারীদের বাবা ও ভাইকে নির্মমভাবে হত্যা ও করা হয়েছিলো। এর কি বিচার করেছিলেন ইন্ডিয়া এই বিষয় সংখ্যালঘুর উপরে হামলা বলে কি কোন সংবাদ প্রকাশ করেছিলেন ভারতীয় আমলা মিডিয়া গুলো? রাষ্ট্রের অভ্যন্তরীণ বিষয় নিয়ে কথা বলাটা কতটুকু যুক্তিযুক্ত? আর কথা বলতে গিয়ে যুদ্ধ ঘোষণা করা কোন মানবাধিকার আছে কিংবা কোন ধর্মে আছে, বিশ্ব মিডিয়া কি এমন কর্মকাণ্ডে লিপ্ত হতে পারে! বেশ কয়েকদিন যাবৎ ভারতীয় বিভিন্ন মিডিয়া গুলোতে দেখা যাচ্ছে বাংলাদেশের কাছে কি পরিমাণ অস্ত্র গুলাবারুদ আছে এবং ভারতের কাছে কি পরিমাণ অস্ত্রগুলো বারুদ আছে সেটা বিবরনীয় দেখাচ্ছেন বিভিন্ন টিভি চ্যানেল সহ অনলাইনে। ভারতের সাথে বাংলাদেশের যুদ্ধ হলে বাংলাদেশের অস্তিত্ব থাকবে না এমনটাই দেখিয়ে দেখিয়ে মিডিয়াতে ভয় পাওয়ানোর চেষ্টা করছেন ভারতীয় গণমাধ্যম গুলো। ভারতীয় মিডিয়াগুলোকে বলতে চাই আপনার আগে সাংবাদিকতা শিখুন যুদ্ধ কখনো শান্তি বয়ে আনে না বরং যুদ্ধ প্রতিটা দেশের জন্য কাল হয়ে দাঁড়ায়। যুদ্ধ হলেই যে বাংলাদেশ ধ্বংস হবে শুধু তাই নয় ইন্ডিয়াও কিছু না কিছু অংশ হলেও ধ্বংস হবে।
ভারত বাংলাদেশকে মারবে কি একাত্তরেও মরেছিল পাকিস্তানের হাতে বাংলাদেশ ৭৫ হয়েছিল আন্দোলন বিগত ১৭ বছরে বাঙালিরা একের পর এক হত্যা হয়েছে, গুম হয়েছে, জুলুম ও নির্যাতিত হয়েছে তাদেরকে আর কিসের মৃত্যুর ভয় দেখাচ্ছেন ভারতীয় মিডিয়া!
ভারতীয় সরকার আবারো শেখ হাসিনা সরকারকে বাংলাদেশে স্থাপন করার জন্য চেষ্টা চালাচ্ছেন বিভ্রান্ত সৃষ্টি করে প্রয়োজন হলে যুদ্ধ করে হলেও সরকারকে বসাতে চাচ্ছেন ক্ষমতায়। প্রশ্ন উঠেছে কেন? তাহলে কি বাংলাদেশ থেকে ভারত প্রচুর পরিমান লাভবান হচ্ছিলেন আওয়ামী লীগের আমলে? আরো প্রশ্ন উঠে শেখ হাসিনাকে প্রকাশ্যে না এনে গোঁপনে কেন রেখেছেন তাহলে কি হাসিনা ধরা পড়লে বাংলাদেশের কাছে ইন্ডিয়ার অনেক গোপন তথ্য ফাঁস হয়ে যাবে যা ইন্ডিয়া বাংলাদেশকে শোষণ করেছিল সেই ভয়ে। একাত্তরের যুদ্ধের সময় বাংলাদেশের পাশে দাঁড়িয়ে ছিলেন ভারত কিন্তু সেটা কি বিনিময় ছাড়া পাশে দাঁড়িয়ে ছিলেন। বাংলাদেশ বলবে যে না বিনিময় নিয়ে ইন্ডিয়া পাশে দাঁড়িয়ে ছিলেন ভারতের কলকাতা, ত্রিপুরা ও আসাম এসব অঞ্চলগুলো বাংলাদেশের সীমানায় ছিল এগুলো বেশ কিছু বছরের জন্য নিয়েছিলেন ভারত কিন্তু এগুলো আর ফেরৎ দেয়নি, ফেরৎ না দিয়ে ভারতীয় অঙ্গরাজ্য বানিয়েছেন। ঠিক ভাবো যদি বাংলাদেশের সাথে যুদ্ধ করতে আসে কোন না কোন সুবিধা নিয়েই বাংলাদেশের পাশে হয়তো কোন না কোন দেশ দাঁড়াবেন। ভারত যুদ্ধে লিপ্ত হলে যে ভারতের খুঁটি ঠিক থাকবে তাও কিন্তু নহে। চায়না তাকিয়ে আছেন সেভেন সিস্টার্স এর দিকে আর পাকিস্তান তাকিয়ে আছেন কাশ্মীর এর দিকে।
তবে রোহিঙ্গা ইস্যুতে বাংলাদেশে তখন আওয়ামী লীগ সরকার রোহিঙ্গাদেরকে বাংলাদেশের নিয়ে আসলো দেশে ফেরানোর জন্য তেমন কোন ভূমিকা রাখেনি হয়তোবা কোন না কোন নৈরাজ্য সৃষ্টির হাতিয়ার হিসেবে রাখেছেন হাসিনা ও মুদি সরকার। বাংলাদেশের সকলেরই মনে আছে মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে আসা রোহিঙ্গা নাগরিকদেরকে দেশে ফেরত পাঠাতে যখন জোরালো ভুমিকা রাখতে চেয়েছিল তখনই মায়ানমার থেকে বাংলাদেশের যুদ্ধের ঘোষণা করা হলে। ইন্ডিয়া কিন্তু বাংলাদেশের পক্ষ নেয়নি নিয়েছিল মিয়ানমারের এত কিছু না কিছু স্পষ্ট হয় যে রোহিঙ্গা এক-সময় ইন্ডিয়ার পক্ষ নিয়েই ঘুরে ধারাবে। তাদেরকে যদি ঘোষণা দেওয়া হয় যে ইন্ডিয়া যদি বাংলাদেশকে কায়েম করতে পারে তবে রোহিঙ্গাদেরকে নাগরিত্ব দেওয়া হবে তবে কেন রোহিঙ্গারা এই সুযোগ কাজে লাগাবেন না? তখন কি ভাবা যায় কি হতে পারে কেনই বা তারা এই সুবর্ণ সুযোগ লোফে নেবেন না।
তবে ভারতীয় মিডিয়াগুলো ও ভারতীয় অঙ্গরাজ্যের বিভিন্ন নেতারা বাংলাদেশের সাথে যুদ্ধে লিপ্ত হবেন একটু বলাতেই বাংলাদেশের সকল রাজনৈতিক দল ও মানুষ একই সারিতে ঐক্যবদ্ধ হয়ে দাঁড়িয়েছেন ভাবা যায় রাজনীতিকতায় অরাজকতা সৃষ্টি করতে গিয়ে সকলের দল-মত নির্বিশেষে সকলের মধ্যে তৈরি হয়েছেন ঐক্যবদ্ধতার সেতু। আবারো প্রমাণ করেছেন বাংলার মানুষ মৃত্যুকে ভয় করে না তাদের জন্ম হয়েছে মরবার জন্য তারা জন্ম দিতেও জানে, মরতেও জানে আবার বেঁচে থাকার জন্য যুদ্ধও করতেও জানে। বাংলাদেশে মানুষ আবারও প্রমাণ করেছেন দেশ রক্ষার্তে সকলে ঐক্যবদ্ধ থাকে। ইতিমধ্যে বাংলাদেশে হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ তাদের সাথে এখন মুসলিম ঐক্য পরিষদ হয়েছেন যা বিগত বছরগুলোতে হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টানের ঐক্য পরিষদ ছিল যুদ্ধের ঘোষণার কারণে এখন তারাও হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টানের ঐক্য পরিষদের সাথে মুসলিমদেরকে এড করে নিয়েছেন ভাই ভাই হয়েছেন সবাই। সবাই একত্রিত হয়ে বিভিন্ন জায়গায় ভারতের বিরুদ্ধেই প্রতিবাদ সম্মেলন করছেন ভাবা যায় সত্যের কাছে মিথ্যাবাদীরা কি ভাবে বিলুপ্ত হয়। বাংলাদেশ কখন ইন্ডিয়ার সাথে সংঘাত চায় না চায় শান্তিপূর্ণ বন্ধুত্ব কেন না বাংলাদেশ একিতো স্বাধীন রাজ্য তারা জানে যুদ্ধ হলে কি হয় আর বাংলাদেশ শুধু পাকিস্তান এর সাথে যুদ্ধ করে স্বাধীন হয়নি একের পর এক যুদ্ধ করেই যাচ্ছেন তাই যুদ্ধ কি বয়ে আনে বাংলাদেশের মানুষ জানান ভারত কেন বাংলাদেশ কোন দেশের সাথেই কখনো যুদ্ধ কিংবা সংঘাত চায়না।
ভারতীয় সীমান্তে একের পর এক বাংলাদেশীদেরকে গুলি করে হত্যা করা হচ্ছে শুধু তাই নহে নারী পুরুষ সহ ছোট ছোট বাচ্চাদেরকে নির্মমভাবে নির্যাতনের পর গুলি করে হত্যার পর কাটা তারের সাথে ঝুলিয়ে রাখা হচ্ছে। গত ০৬/১২/২০২৪ ইং তারিখেও এক বাংলাদেশীকে গুলি করে হত্যা করে ইন্ডিয়াতে নিয়ে রাখা হবে বাংলাদেশ থেকে বিজিবি পতাকা বৈঠক করে লাশ নিয়ে এনেছিলেন। সব হত্যার বিষয় ও আগামীতে যেন এমন নির্মম হত্যা না করতে পারে সেইসব বিষয় আন্তর্জাতিক আদালতের কাছে কেন বাংলাদেশ বিচার চাইবেন না?
বাংলাদেশে সাংবাদিকরা হলো সত্য প্রকাশে অবিচল সেই স্বাধীন সাংবাদিকতাকে দমাতে তথ্যপ্রযুক্তি ও সাইবার নিরাপত্তা নামক আইন দিয়ে সাবেক স্বৈরাচার সরকার শেখ হাসিনা শত চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়েছেন তখনি অনেক সাংবাদিককে গুম খুন পর্যন্ত করিয়েছিলেন দলীয় নেতা ও প্রশাসন দিয়েও। এতো কিছুর পরেও বাংলাদেশের সাংবাদিকরা তাদের সত্য প্রকাশে কখনো পিছু পা হয়নি। বাংলাদেশে যারা সত্যিকারের সাংবাদিক তাদের বিরুদ্ধে শেখ হাসিনা সরকার ২/৪/৫টি করে মামলা দেয়নি এমন নজির বাংলাদেশে নেই। এমনও আছে শতাধিক মামলা আছে সাংবাদিক ও সম্পাদকদের বিরুদ্ধে। ভারতীয় মিডিয়া গুলিতে উপস্থাপক ও উপস্থাপিকা তারা কখনো সাংবাদিক হতেই পারেনা তারা নিঃসন্দেহে ফুটপাতের মলম বিক্রেতা ছিলেন তাদের ঐ উপস্থাপনা ভালো বলে ভারতের মিডিয়ার মালিকেরা তাদেরকে ব্যবহার করছেন। ভারতীয় মিডিয়া কর্মীদেরকে বাংলাদেশে এনে সাংবাদিকতা শিক্ষা দেওয়া অতিব জরুরী বলে মনে করেন সকলে।
তবে বাংলাদেশের কিছু সাংবাদিক ভারতীয় মিডিয়ার সাথে অপপ্রচারে লিপ্ত রয়েছেন লিপ্ত রয়েছেন ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা (র) এর এজেন্টের সাথেও। আমরা যদি হিসেব করি আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে আওয়ামী লীগের দলের ও দলের বাহিরের আন্ডারগ্রাউন্ড কিছু সাংবাদিক গণ-গণ ভারতে যেতেন কেন যেতেন কি উদ্দেশ্য ছিলো তাদের কেন এইসব ক্ষতিয়ে দেখা হবে না? ভারত থেকে যারা মিডিয়া কর্মীদেরকে বাংলাদেশে আসলে আস্ত্রয় দিতেন তাদের বিষয় ও বর্তমানে ভারতীয় মিডিয়াতে বাংলাদেশ সাথে যারা যুক্ত আছেন তাদের বিষয় খোঁজ খবর নিয়ে এই অপপ্রচারে লিপ্ততা পাওয়া গেলে কেন তাদেরকে আইনের আওতাধীন আনা হবে না?