নিজস্ব প্রতিবেদক :
গত ৫ আগস্ট আ.লীগ সরকারের পতনের পর কুমিল্লার দেবীদ্বারে এখনো চলছে আ.লীগের প্রভাব বিস্তার। কুমিল্লা দেবীদ্বারের সাবেক সংসদ সদস্য রাজি মোহাম্মদ ফখরুল বিগত ১০ বছর ছবির ব্যাক্তিদের কে নিয়ে দেবীদ্বার উপজেলা প্রতিটি এলাকায় লুটপাট করেছেন তাদের ই একজন সুবিল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দপ্তরি আনিস, সাবেক পৌর মেয়র শামিম কামাল চৌধুরী। তারা দেবীদ্বার উপজেলায় সকল সরকারি কাজের ৪০ পার্সেন্ট কমিশন আদায় করত, এমপি রাজিব মুন্সির নাম দিয়ে, ৬০ পার্সেন্ট টাকা থেকে ৩০ পার্সেন্ট কাজ করে কোনো রকম চালিয়ে দিতো! সরকার পতনের পরও তারা এলাকায় প্রভাব বিস্তার করে কোন ক্ষমতাবলে? তবে কি তারা স্থানীয় বিএনপি নেতাকর্মীদের ছত্রছায়ায় বিএনপিতে যোগ দিয়েছেন? এমন প্রশ্ন দেবীদ্বার বিএনপি তৃণমুল নেতাকর্মীদের। তারা এত অপরাধ করার পরও তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হল না। বর্তমান সরকারের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে এলাকার সাধারণ মানুষ বলেন, বিগত দিনগুলোতে এই লোক গুলো অসংখ্য অনিয়ম করে কোটি কোটি টাকা দুর্নীতি করে টাকার পাহাড় বানিয়েছে।
স্থানীয় আ.লীগ নেতা ও সাবেক সাংসদ রাজি ফখরুল গত দ্বাদশ নির্বাচনে হেরে যাওয়ার পর সুবিল ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মুকুল ভূইয়ার হাত ধরে সাবেক এমপি কালামের দলে যোগ দিয়েছিলো। সে সুবিল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দপ্তরি আনিস, সে বিগত ১০ বছর যাবত মেয়র শামিমকে নিয়ে কয়েক কোটি টাকা আত্মসাত করেছে এবং আশেপাশের মানুষের সাথে আ. লীগের ক্ষমতা দেখিয়ে অনেক অপরাধ করে সে, যেমন সুবিল পুর্বপাড়া লিলমিয়া হুজুরের বাড়ি যাওয়ার জন্য সরকারি খাল বন্ধ করে রাস্তা নির্মাণ করেছে। সুবিল গ্রামের ৫০০ পরিবারের কাছ থেকে প্রতি মিটার বাবদ ১২ হাজার টাকা নিয়েছে। বিনামূল্যের বিদ্যুৎ খুটির জন্য প্রতি খুটির দাম নিয়েছেন ৩০ হাজার টাকা এভাবেই সুবিল থেকে পশ্চিম পোমকাড়া পর্যন্ত কোটি টাকা দুর্নীতি করেছে। খোঁজ নিয়ে আরও জানা গেছে, এই দপ্তরি আনিস বিগত বছরগুলোতে সরকারি স্কুলের ডিউটি না করে আওয়ামী লীগের ক্ষমতা দেখিয়ে এদিকে সেদিকে দাবিয়ে বেড়াতেন এবং প্রতি মঙ্গলবার সকাল ১০ থেকে বিকাল ৪ টা পর্যন্ত ফতেহাবাদ গরুর হাটে গরু বেচাকেনায় দালালী করতো বলে জানিয়েছেন স্থানীয় এলাকাবাসী। এ বিষয় সুবিল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আমানত খানকে কোনো প্রতিবাদ করতে ও দেখা যায় নি। সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দপ্তরি হয়েও সুবিল ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ড যুবলীগের নেতা হিসেবে এলাকায় প্রভাব বিস্তার করে বিভিন্ন প্রকার অপকর্মে লিপ্ত ছিলেন। গত ৫ আগস্ট ছাত্র আন্দোলনের সময় সুবিল থেকে কিছু ছেলে নিয়ে দেবীদ্বার এ ছাত্রদের উপর হামলা চালিয়েছিলো।
তাদের ধনসম্পদের পরিমাণ তদন্ত করে বের করে তাদের বিরুদ্ধে কঠিন শাস্তি দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন স্থানীয় সাধারণ মানুষ।অনুসন্ধান চলবে
© www.newsnewstbd.com
নিউজনেস্ট