সরকারি চাকরিতে বেতন কাঠামোর ৯ম থেকে ১৩তম গ্রেডে (আগের প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির) মুক্তিযোদ্ধা কোটাসহ কোটা পদ্ধতি বাতিলের সিদ্ধান্ত বহালে উচ্চ আদালতের রায়ের প্রতিবাদে এবং ২০১৮ সালের পরিপত্র পুনর্বহালের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থী ও চাকরি প্রত্যাশীদের পক্ষ থেকে ঘোষিত ‘বাংলা ব্লকেড’ কর্মসূচি আজ দ্বিতীয় দিনের মতো পালিত হয়েছে।
বেশকিছু দিন ধরে চলা এই আন্দোলনে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণ ছিল না। তবে মঙ্গলবার (৯ জুলাই) থেকে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে একাত্মতা পোষণ করে রাজপথে নামবেন তারা। এ প্রেক্ষিতে শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে কাল দুপুর ১২টায় মানববন্ধন করবেন।
সোমবার (৮ জুলাই) বুয়েটের অহর্নিশ ১৯ ব্যাচের শিক্ষার্থীরা ‘কারেন্ট স্টুডেন্টস অব বুয়েট’ নামক ফেসবুক গ্রুপের এক স্ট্যাটাসে এই বিষয়ে জানানো হয়।
স্ট্যাটাসে বলা হয়, গত ৫ জুন ২০২৪ খ্রিস্টাব্দে হাইকোর্ট থেকে ২০১৮ সালে প্রকাশিত কোটা সংস্কার করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের পরিপত্রটি বাতিল করা হয়। যার প্রতিক্রিয়ায় ক্ষুব্ধ হয়ে পুরো দেশের ছাত্রসমাজ রাস্তায় নেমে আসে। বুয়েট এ সময়টার মধ্যে টার্ম ফাইনালের বন্ধ থাকায় সংঘবদ্ধ হয়ে কিছু করে উঠতে পারেনি। এ ব্যাপারে অহর্নিশ ১৯ দফায় দফায় আলোচনা করে। তবে হলে জনবল কম থাকায় সশরীরে নামার সুযোগ সৃষ্টি হয়ে উঠেনি। টিচারদের পেনশন স্কিমের আন্দোলনের জন্য ক্যাম্পাস অফ থাকার কারণে শিক্ষার্থীরাও হলে আসতে আগ্রহ পাচ্ছে না। আবার, হলে ৫০ শতাংশ এর কম মানুষ থাকায় অথরিটি থেকে হল ডাইনিং চালু করা হচ্ছে না।এতে আরও বলা হয়, অহর্নিশ ১৯ হলে উপস্থিত স্বল্প মানুষ এবং ঢাকায় অবস্থানকারী এটাচদের নিয়ে দেশের অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে ‘কোটা সংস্কার আন্দোলন’ এর প্রতি একাত্মতা পোষণ করে আগামীকাল (মঙ্গলবার) দুপুর ১২ টায় বুয়েট শহীদ মিনারের সামনে একটি শান্তিপূর্ণ মানববন্ধন আয়োজনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। মানববন্ধনে অহর্নিশ ১৯, হাজারখানেক শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি আশা করছে। এই উপস্থিতির উপর নির্ভর করে অহর্নিশ ১৯ পরবর্তী কর্মসূচি বিবেচনা করবে।
সূত্র কালবেলা