নিজস্ব প্রতিবেদক//
গত ১৬ ই আগস্ট কুমিল্লা সদর দক্ষিন এলাকার সিটি কর্পোরেশন ২০ নং ওয়ার্ডের কাউসার আহম্মেদ কে কুপিয়েছে প্রতিপক্ষ সোহাগসহ তার ভাইয়েরা।
এ বিষয়ে সদর দক্ষিন মডেল থানায় হাজির হয়ে কাউসারের মা বাদী হয়ে মামলা রুজু করেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কুমিল্লা সদর দক্ষিন মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ আলমগীর হোসেন ভূঁইয়া।
অভিযোগসূত্রে জানাযায়, গত ১৬ ই আগস্ট সন্ধ্যায় তার ছেলে ঘরের সোফায় বসে মোবাইল টিপছিলেন। এসময় নিন্মবর্নিত ১। সোহাগ (৩৮), ২। শামীম আহমেদ (৩৫), উভয়ের পিতা- রতন মিয়া, মাতা- রিজিয়া খাতুন, ৩। হানিফ (৩২), পিতা- রহমান, মাতা- মাজেদা বেগম, ৪। সাইফুল ইসলাম (৪০), পিতা- রতন মিয়া, মাতা- রিজিয়া খাতুন, ৫। অপু (২০), পিতা- সোহাগ, সর্বসাং- কাজী পাড়া (হাজী পাড়া), পোঃ- রাজাপাড়া, ২০নং ওয়ার্ড, কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশন, থানা- সদর দক্ষিণ, জেলা- কুমিল্লা। এ সময় আসামী সোহাগ তাহার হাতে থাকা ধারালো বড় ছেনী দ্বারা তাহার ছেলেকে হত্যার উদ্দেশ্যে মাথা লক্ষ্য করিয়া কোপ মারিয়া মাথার বাম পার্শ্বে সামনের অংশে গুরুতর কাটা রক্তাক্ত জখম করে। সোহাগ তাহার হাতে থাকা ধারালো বড় ছেনী দ্বারা সাথে সাথে আরো একটি কোপ মারিয়া তাহার ছেলের ডান পায়ের গোঁড়ালিতে গুরুতর কাটা রক্তাক্ত জখম করে। ঐ সময় অপরাপর বিবাদীগণও তাহাদের হাতে থাকা লাঠিসোটা দ্বারা তাহার ছেলেকে উপর্যুপরি আঘাত করিতে থাকে। এক পর্যায়ে তার ছেলের চিৎকার শুনে ঘটনাস্থলের কাছাকাছি পৌঁছালে সোহাগ তার ছেলের প্যান্টের পকেটে ইপিজেড এর বেতন বাবদ থাকা ৫০,০০০/- (পঞ্চাশ হাজার +) টাকা ও আসামী শামীম আহমেদ তার ছেলের হাতে থাকা একটি স্যামসাং এন্ড্রয়েড মোবাইল, মূল্য আনুমানিক ১৮,০০০/- (আঠারো হাজার) টাকা চুরি করিয়া নিয়া সকল আসামীগন পালাইয়া যায়। তিনি আরও উল্লেখ করেন যে, আসামীগন যাওয়ার সময় আমার ছেলেকে পুনঃ একা পাইলে প্রাণে হত্যা করিবে বলিয়া হুমকি দিয়া দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। পরবর্তীতে আশেপেশের পুরুষের লোকজনের সহায়তায় কাউসারকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
এ বিষয়ে সদর দক্ষিন মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ আলমগীর হোসেন ভূঁইয়া বলেন অভিযোগ পাওয়ার সাথে সাথে মামলা রুজু করা হয়েছে। আসামীদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যহত আছে।