কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর ড. আবু জাফর খানসহ সাতজন শিক্ষক ও কর্মচারীর বিরুদ্ধে দুর্নীতির একাধিক অভিযোগ উঠেছে। দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) এ সংক্রান্ত লিখিত অভিযোগ দাখিল করা হয়েছে।
অভিযোগকারীরা জানান, অধ্যক্ষ ড. খান সহ অন্যান্য শিক্ষক ও কর্মচারীরা বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে কলেজের অর্থ আত্মসাৎ করেছেন। এর মধ্যে রয়েছে ভুয়া বিল ভাউচার তৈরি, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের নামে বিলের বই ছাপানো, এবং ব্ল্যাংক বিলে ইচ্ছেমতো টাকা বসানো। অভিযোগে বলা হয়, প্রতিটি প্রোগ্রামে অধ্যক্ষ ৩০%, উপাধ্যক্ষ ১৫%, শিক্ষক পরিষদ সম্পাদক ১৫%, এবং কমিটির সদস্য/পরিষদের সদস্য ৭.৫% কমিশন নেন।
এছাড়াও, কলেজের ১১টি গাছ অনুমতি ছাড়া কেটে ফেলার অভিযোগ উঠেছে অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে। কুমিল্লা বন বিভাগ এবং পরিবেশ অধিদফতর উভয়েই জানিয়েছেন, তাদের কাছে এ বিষয়ে কোনো অনুমতি চাওয়া হয়নি।
দুদকে দাখিল করা অভিযোগ পত্রে আরও বলা হয়েছে, ল্যাবরেটরি ও বিসিসি ল্যাব ফি আদায় করা হলেও বিজ্ঞান বিভাগের ল্যাবগুলোতে কোনো ক্যামিক্যাল দেওয়া হয় না। শিক্ষা সফরের ফি থেকে ৩০% কর্তন করা হয় এবং সেমিনারে অধ্যক্ষ চাঁদা দাবি করেন।
অধ্যক্ষ ড. আবু জাফর খান এ বিষয়ে জানান, তিনি দুদকে অভিযোগ সম্পর্কে অবগত নন এবং পূর্বের অভিযোগগুলো সম্পর্কেও তার মনে নেই।
এ ঘটনায় কুমিল্লা কোতোয়ালি থানার ওসি মো. ফিরোজ হোসেন বলেন, পুলিশ লিখিত অভিযোগ পেলে তা নিয়ে ব্যবস্থা নেবে।
এই অভিযোগগুলো কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজের শিক্ষা পরিবেশ এবং সার্বিক প্রশাসনিক কাঠামোর উপর গভীর প্রভাব ফেলেছে। এই অভিযোগগুলোর তদন্ত এবং সঠিক বিচারের মাধ্যমে সত্য উদঘাটনের জন্য সংশ্লিষ্ট সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হচ্ছে।