নিজস্ব প্রতিবেদক //
গত কয়েকদিন যাবৎ কুমিল্লা পল্লী বিদ্যুৎ এর কর্মকর্তরা সারাদেশে কর্ম বিরতি পালন করে আসছেন। তার ধারাবাহিকতায় কুমিল্লা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি ২ এর সকল কর্মকর্তারা বিদ্যুৎ ব্যবস্থা সচল রেখে এ কর্মবিরতি পালন করে আসছে।
রোববার (৭ জুলাই ) সকাল ৯টা থেকে পবিসের ২ এর কার্যালয়ের সামনে এ কর্মবিরতি কর্মসূচি পালন করা হয়।
তারা বলেন পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের দ্বৈত নীতির কারণে বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা হতে বঞ্চিত হচ্ছে দেশের ৮০টি পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির প্রায় ৪০ হাজার কর্মকর্তা এবং কর্মচারী। দেশের প্রত্যন্ত এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহের কাজে নিয়োজিত কর্মীরা একই প্রতিষ্ঠানে চাকরি করলেও পদ-পদবি, বেতনভাতা, বোনাসসহ পদোন্নতির ক্ষেত্রে চরম বৈষম্যের শিকার হয়ে আসছে। কুমিল্লা পবিস২ এর সমিতির কর্মকর্তা কর্মচারীরা কুমিল্লা জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপি প্রদানসহ নিয়মতান্ত্রিকভাবেই তাদের দাবি দাওয়া বাস্তবায়নে চেষ্টা করে আসছে।
তবে আন্দোলনে গেলেও জরুরি বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে প্রতিটি উপকেন্দ্রে একজন করে জনবল কাজ করছে বলে জানান আন্দোলনকারীরা।
সংশ্লিষ্টরা জানায়, পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি দেশের প্রায় ৪ কোটি গ্রাহক কে ( ৮০ শতাংশ) বিদ্যুৎ সরবরাহ কাজে নিয়োজিত রয়েছে। বিআরইবি দ্বারা নিয়ন্ত্রিত এসব সমিতির কর্মকর্তা ও কর্মচারী প্রতিনিয়ত নানা বৈষম্যের শিকার হচ্ছেন।
কুমিল্লা পল্লী বিদ্যুতের এজিএম (আইটি) মোঃ সাইফুল হক বলেন, আমরা অনেক কষ্ট করি, সরকারে নির্দেশনা অমান্য করে আমাদেরকে বৈষম্যের স্বীকার হতে হচ্ছে, আমরা চাই আমাদের চাকুরীতে পদয়ানসহ সরকার ঘোষিত কর্মকর্তা/কর্মচারীদের পদমর্যাদা সরকার ঘোষিত ১-২০) ৬ মাস পিছিয়ে পে স্কেল ও বিশেষ প্রণোদনা প্রদান করা হোক। উক্ত সময়ে লাইন শ্রমিক আরিফ বলেন, আমরা অনেক কষ্ট করে কাজ করি আমাদের জীবনের কোন নিরাপত্তা নেই, যদি দাবি দাওয়া না মানা হয় তাহলে তারা কঠোর আন্দোলনের হুশিয়ার প্রদান করেন এ সময় আরও বক্তব্য রাখেন বিলিং সুপারভাইজার হামিদা বেগমসহ পবিস২ এর অন্যান্য কর্মকর্তা এবং কর্মচারীরা।
তাদের দাবির সাথে একাত্মতাপোষন করেন পবিস২ এর ডিজিএম মনোয়ারুল ইসলাম।
একই প্রতিষ্ঠানে চাকরি করলেও পদ, পদবি, পদোন্নতি, বেতন গ্রেড, সাপ্তাহিক ছুটি, একই প্রতিষ্ঠানে একই পদে নিয়মিত এবং চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ, লোকবলের স্বল্পতাসহ সব ক্ষেত্রেই বৈষম্যের শিকার সমিতির কর্মকর্তা এবং কর্মচারীরা। এসব বৈষম্যের বিষয়ে দীর্ঘদিন ধরেই অভিযোগ জানানো হলেও কোনো প্রতিকার পাওয়া যাচ্ছে না। বরং এসব ন্যায় সংগত অধিকারের কথা বললেই নানাভাবে হয়রানি করা হয়।
বিদ্যমান বৈষম্যগুলো দূর করে পবিস একই সার্ভিস কোড পরিচালনা করা, ৫% প্রণোদনা জুলাই-২৩ হতে কার্যকর, ২০১৫ সালের পে- জুলাই-১৫ হতে সমধাপে কার্যকর, ৪০০ ইউনিট বিদ্যুৎ বিল ভাতা, দুদিন সাপ্তাহিক ছুটি, নির্ধারিত কর্মঘণ্টা, অতিরিক্ত কাজের জন্য ওভারটাইম/ডিস্টারবেন্স অ্যালাউন্স, চিকিৎসা ভাতা, অডিটের নামে হয়রানি না করাসহ সরকার প্রদত্ত সব সুযোগ-সুবিধা বিআরইবির ন্যায় সমিতির জন্যও বাস্তবায়ন চান তারা।