অনলাইন ডেস্ক//
সদর দক্ষিণে চুরি ছিনতাই এবং ডাকাতি বেগবান হয়ে ওঠেছে। তার মধ্যে অন্যতম মটর সাইকেল চুরির হিরিক এবং ডাকাতির ঘটনাতো রয়েছেই। এরই মধ্যে ব্যপরোয়া হয়ে ওঠেছে কিশোর গ্যাং, জড়িয়ে পড়ছে বিভিন্ন অপরাধকর্মে। বাড়িতে ডাকাতিসহ নারী নির্যাতন এর মত ঘটনাও ঘটছে কেউ লজ্জায় মুখ খুলতে পারছে না।
আইনশৃঙ্খলা বাহীনি কেন নিশ্চুপ প্রশ্ন ওঠতেই পারে!
অনুসন্ধান টিম ভিবিন্ন তথ্য এবং নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক একাধিক লোকের সাথে কথা বলে জানতে পারে যে, যারা পূর্বে ডাকাতি করছে তারাই আবার জেল খেটে জামিনে মুক্ত হয়ে একই কাজ পুনরায় করছে। আর ডাকাতির পূর্বে সোর্স হিসেবে ব্যবহার করছে বিভিন্ন জায়গা থেকে আসা হকারদেরকে, যারা বাড়ি বাড়ি গিয়ে ফেরি করে বেড়ায় এবং তথ্য এনে দেয়।
ডাকাতরা ধরা পড়লেও তাদের বাড়ি বিভিন্ন স্থানে।
রাস্তায় ডাকাতি করার পূর্বে একাধিক মটর সাইকেল এবং মাইক্রো বাস টহল দিতে থাকে। অর্থাৎ ডাকাতি করার পূর্বে রেকি করতে থাকে।
সোর্স কারা?
যারা মাদক কারবারি রয়েছে তাদেরকে দিয়েই পুলিশ সোর্স হিসেবে ব্যবহার করছে।
এমনি কয়েক জনের নাম ওঠে এসেছে অনুসন্ধান টিমের কাছে, বিজয়পুর এলাকার বৌ বাজার এর রুবেল, তার সহকর্মী আলামিন, মেহেদী, মধ্যম বিজয়পুরের মুড়াপাড়ার শরিফ আহমেদ, তারা চিহ্নিত মাদককারবারী এবং চিহ্নিত চোর এবং ডাকাত চক্রের সদস্য, তাদের বিরুদ্ধে রয়েছে একাধিক মামলা, তাদেরকে গ্রেফতার করে জেল হাজতে প্রেরন করলেও জামিনে এসে তারা এখন পুলিশের সোর্স হিসেবে কাজ করছে এবং ফাঁসিয়ে দিচ্ছে নিরীহ মানুষকে। রুবেলকে নিয়ে পুলিশ বিবিন্ন জায়গায় মাদক অভিযানে যায় এবং অর্থনৈতিক লেনদেনের মাধ্যমে রাস্তার ঝামেলা রাস্তায় শেষ করে তাকে আবার বাড়িতে নামিয়ে দিয়ে যায়, সোর্স বলে কথা! সে এখন পুলিশের গাড়িতেই থাকে সবসময়।
কাশিপুর এলাকার ফাহিম সে একজন চিহ্নিত ডাকাত এবং মাদকসেবনকারী, তার নেই কোন আয়ের উৎস কিন্তু মটর সাইকেল এবং রাজকীয়ভাবে দিন কাটাচ্ছে, তার বিরুদ্ধে রয়েছে একাধিক মামলা। সেও এখন পুলিশের সোর্স, রিতীমত পুলিশের সাথে ওঠা বসা তাদের।
এর মাঝে অনুসন্ধানে নাম ওঠে এসেছে স্থানীয় সাবেক ইউপি মেম্বার এর। কয়েকজন স্থানীয় ব্যাক্তি নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক লোকজন বলেন সে মেম্বার থাকাকালীন সময়ে ক্ষমতার অপব্যবহার করতেন এবং মাদক বিক্রির গুরুতর অভিযোগ তার বিরুদ্ধে। ভয়ে কেউ কথা বলতে রাজি না তার বিরুদ্ধে।ক্ষমতাসীন দলের ছত্রছায়ায় পার পেয়ে যায় বার বার।
পুলিশের তদন্তের খাতিরে দুইজন বড় চিহ্নিত ডাকাত এবং মাদক কারবারীর কথা উল্লেখ করা গেল না।
আইনশৃংখলা বাহীনির ভূমিকাঃ
অনুসন্ধানে স্থানীয় লোকজন বলেন এখানে সদর দক্ষিণ মডেল থানায় নতুন নতুন অফিসার এসেছেন যার ফলশ্রুতিতে তারা এখনো ঠিকমতো রাস্তা এবং ওলিগলি চিনতে অসুবিধা হচ্ছে।
কিন্তু প্রশ্ন রয়ে গেল ওসি তদন্ত খাদেমুল বাহার এর তিনি সদর দক্ষিণ মডেল থানায় একাধিকবার ঘুরেফিরে সদর দক্ষিণ থানাতেই আছেন, তিনি চাইলে অপরাধ এবং অপরাধীদেরকে সনাক্তকরণের মাধ্যমে আইনের আওতায় নিয়ে আসতে পারেন কারণ তিনি সদর দক্ষিণ মডেল থানার ওলিগলি ভালো করেই চিনেন এবং কারা অপরাধী তিনি ভালো করে বলতে পারেন। দাপটে এই পুলিশ কর্মকর্তা কেন নিশ্চুপ?
এ ব্যাপারে সদর দক্ষিণ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আলমগীর হোসেন ভূঁইয়া একাধিক বার আশ্বস্ত করলেও অপরাধীরা এখনো ধরাছোঁয়ার বাহিরে।