নিজস্ব প্রতিবেদক//
কুমিল্লা বুড়িচং থানায় কর্মরত এ এস আইসহ দুইজনকে মাদক বিক্রির অভিযোগে গ্রেফতার করেন কুমিল্লা র্যাব-১১ এর সিপিসি-২ এর একটি চৌকস দল। মাদকসহ আটকের সময় তাদের কাছথেকে ৪০ কেজি গাঁজা ও গাঁজা বিক্রির ১৪ হাজার টাকা এবং বিভিন্ন ব্রান্ডের ৫টি মোবাইল সেট জব্দ করেন র্যাব। আটকের সময় স্থানীয় লোকজন উপস্থি’ত থাকলেও অদৃশ্য কারণে তাদের নাম পদবি গোপন রেখে মামলা দিয়ে আদালতে চালান করা হয়। কুমিল্লা পুলিশ সুপার এবং থানার ওসি মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এবিষয় গণমাধ্যমের কাছে কোনো কারণ জানাতে অপারগ। মাদক বিক্রির অপরাধে ওসি জাড়িত থাকার বিষয় সন্দেহ করছে কেউ কেউ। আবার আটকের পর তাদের নাম পদবি গোপন করা রহস্য জনক। আটককৃতরা হলেন মোঃ সাখাওয়াত হোসেন, এ এস আই বুড়িচং থানায় কর্মরত একই থানার পুলিশ সদস্য মোঃ মোরশেদ, ও সি এনজি চালক মফিজ মিয়া। সংশ্লিষ্ট থানা এলাকায় আইনশৃঙ্খলার সুরক্ষা দিতে ওসির ভূ’মিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিশিষ্টজনরা। ওসি তাঁর নিজ থানার শৃঙ্খলা ফেরাতে ব্যর্থ হলে জনগণের সুরক্ষা নিশ্চিত করবেন কীভাবে। একটি সূত্র বলছে আটকৃতরা ঘটনার সময় বুড়িচং থানায় কর্মরত ছিলেন। তবে ওসি দায়সারা বক্তব্য দিয়ে তথ্য গোপন করছেন।
জানা গেছে ২ জুন রাত অনুমান ০৮ টার দিকে কুমিল্লা র ্যাব এর একটি দল গোপস সংবাদর ভিত্তিতে জানতে পারে একটি মাদক বিক্রির সংঘবদ্ধ দল মাদক বিক্রির উদ্দেশ্যে সি এনজিযোগে কুমিল্লার দিকে যাচেছন। এ সময় অভিযানিক দলটি বুড়িচং থানাধীন ভরাসার শাকিনস্থ¯আশা অফিস সংলগ্ন সাহারা ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কশপের সামনে পাকা রাস্তার ওপরে চেক পোস্ট ¯স্থাপন করে সন্দেহভাজন সি এনজি তল্লাশী করতে থাকেন।
তল্লাশীর একপর্যায় সন্দেহ ভাজন সি এনজিকে থামার সংকেত দিলে গাড়ি চালিয়ে চালকসহ চারজন পালানোর চেষ্টাকরলে র্যাব সদস্যরা তিনজনকে আটক করতে সক্ষম হন এবং অন্যজন কৌশলে দৌড়ে পালিয়ে যায়। আটতকৃত ব্যক্তিরা নিজেদের নাম ঠিকানা প্রকাশ করলেও পলাতক ব্যক্তির নাম পরিচয় জানেনা বলে জানায়। আটকের পর প্রত্যক্ষদর্শী আবুল কালাম,
ও শ্রী লক্ষণ চন্দ্র দাস এর সম্মূখে র্যাব সদস্যরা আটককৃতদের দেহ ও সি এনজি তল্লাশীর সময় দুইটি চটের বস্তায় রক্ষিত খাকি রংয়ের স্কচটেপ দ্বারা মোড়ানো ষোল ব্যান্ডেল অবৈধ মাদকদ্রব্য গাঁজা যার প্রতি ব্যান্ডেলের ওজন ২.৫ কেজি হিসেবে ষোল ব্যান্ডেলের ওজন ৪০ কেজি। এছাড়াও গাঁজা বিক্রির নগদ ১৪ হাজার টাকা ও বিভিন্ন ব্রান্ডের ৫টি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়।
আটকের পর তাদের পুলিশ সদস্য নাম গোপন করা হলো কেন ,এসব বিষয় জানার জন্য কুমিল্লা পুলিশ সুপার এর মোবাইলে একাধিকবার ফোন দিলেও তিনি ফোনকল গ্রহণ করেননি। হোয়াটসঅ্যাপ নম্বরে ক্ষুদে বার্তা পাঠালেও কোনো জবাব দেননি। বুড়িচং থানার অফিসার ইনচার্জের কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান , আমি ছুটিতে আছি মামলা সম্পর্কে আমার মনে নাই তবে থানার কথা অস্বীকার করে বলেন, আটককৃতরা পুলিশ ল্াইনে কর্মরত ছিল। তাহলে ছুটি শেষে আমি থানায় গিয়ে বলতে পারবো। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এস আই আতিকুল ইসলামের মোবাইলে একাধিকবার ফোন দিলেও ফোনকর গ্রহণ করেননি।
মামলার এজাহারকারী কর্মকর্তা (বাদী) কুমিল্লা র্যাব -১১ এর সিপিসি -২ এর ডি এডি মজিবুর রহমান বলেন , আমি অফিসের বাইরে আছি আমি আ্পনাকে ক্যাম্পে গিয়ে আগামিকাল দশটার দিকে বিষয়টি বুাঝিয়ে বলব। আপনি এজাহারকারী আপনি কোনো চাপে কিংবা কোনো মহলের নির্দেশে তাদের পুলিশ পরিচয় গোপন রাখছেন। এমন প্রশ্বের জবাবে একই বক্তব্য দিয়ে বলেন, আপনি একদিন অপেক্ষা করেন। বার বার অপেক্ষা এবং পুলিশের পক্ষথেকে নীরব ভূমিকা রহস্যজনক।
© www.newsnewstbd.com
নিউজনেস্ট