নিজস্ব প্রতিবেদক//
কুমিল্লার বরুড়ার ১৩ নং আদ্রা ইউনিয়নের বাসিন্দাদের ভোগান্তির শেষ নেই। কুমিল্লা বরুড়া আদ্রা ইউনিয়ন সোনাইমুড়ী থেকে পেরপেটি ও একবাড়িয়া( কোড্ডারার রোড) সর্ব বৃহৎ জনবহুল লোকের চলাচলের রাস্তা এটি।
এই রাস্তাটি দিয়ে প্রায় দৈনিক ১৫-২ হাজার লোকের চলাচলের জন্য রয়েছে একটি কালভার্ট এবং যা ভাঙ্গা অবস্থায় রয়েছে চলাচলের জন্য রাস্তাটিতে একটু বৃষ্টি হলে পানি জমে রাস্তার বেহাল দশা হয়ে যায়। তাছাড়াও এ রাস্তা দিয়ে প্রতিদিন স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীরা যাতায়াত করে। স্থানীয় লোকজন জানান একাধিকবার রাস্তা এবং কালভার্ট মেরামতের জন্য স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ রাকিবুল হাসান লিমনেকে অবহিত করলে তিনি কোন কর্নপাত করেন নি।
স্থানীয় বাসিন্দারা অনেক কাকুতি মিনতি করলে পরবর্তীতে চেয়ারম্যান রাকিবুল হাসান লিমন সরজমিনে এসে পরিদর্শন করে স্থানীয়দের আস্বস্ত করেন যে রাস্তা এবং কালভার্ট করে দিবেন। স্থানীয়দের বক্তব্য আরও জানা যায় যে, পরিদর্শনের পর প্রায় দুই বছর হয়ে গেলেও এই কালভার্ট এবং রাস্তা মেরামত হয় নি।
এলাকাবাসী প্রশাসনের কাছে দাবি করেন যে, দ্রুত এই রাস্তা এবং কালভার্টটি যেন মেরামত করা হয়।
উল্লেখ্য যে এলাকাবাসী আরও জানান, এই রাস্তা দিয়ে সোনাইমুড়ী থেকে পয়ালগাছা ডিগ্রি কলেজ, সোনাইমুড়ী হাইস্কুল, ফাজিল মাদ্রাসা, মন্দুক প্রাইমারী স্কুল, ছোটতুলাগা মহিলা কলেজ এবং আড্ডা ডিগ্রি কলেজ সহ একবাড়িয়া, হেরপেটি প্রাইমারি স্কুলের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক হচ্ছে পুদুয়ার পাড় কোড্ডার পাড়। এই রাস্তা ছাড়া অন্যকোন বিকল্প রাস্তা নেই।
সেতুটি দীর্ঘ দুই বছর যাবত ভেঙ্গে পড়ে আছে, এলাকাবাসী কয়েকবার ইউনিয়ন চেয়ারম্যানকে এই বিষয় অবগত করেন, তিনি এ বিষয়ে অবগত হয়েও কোন প্রদেক্ষেপ গ্রহন করেন নি, যার ফলস্রুতিতে, এলাকার ছাত্র, অসহায়, অসুস্থ্য, মানুষর দুর্ভোগের শেষ নেই,, বর্তমানে এই সড়ক ছাড়া অন্য কোন যানবাহন চলা অসম্ভব হয়ে পড়েছে, কালবার্ট অকেজো হওয়ার কারনে, বর্তমানে মানুষের কষ্টের শেষ নেই, এলাকাবাসী চেয়ারম্যান কে স্মারকলিপি জমা দিলেও উনি এক এক সময় এক এক কথা বলে চলে যান,
উক্ত বিষয়ে জানার জন্য ১৩ নং আদ্রা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোঃ রাকিবুল হাসান লিমনের মুঠো ফোনে একাধিকবার কল করলেও তিনি ফোনটি রিসিভ করেন নি।