নিজস্ব প্রতিবেদক//
২৭ জুন ২৪ নাঙ্গলকোট উপজেলার ০৬ নং আদ্রা, ইউনিয়ন দক্ষিণনে, চাটি তলা পূর্বপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। আহত রেহেনা বেগমের স্বামী শাহআলম জানায় আমি কুমিল্লা ধর্মপুর রেলওয়ে স্টেশন সংলগ্ন মসজিদে মুয়াজ্জিন হিসেবে কর্মরত আছেন।
তিনি বলেন দীর্ঘদিন জায়গা নিয়ে বিরোধের মিমাংসা করতে আসেন সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল ওহাব, সাবেক ইউপি মেম্বার জামাল হোসেনসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যাক্তিরা বিরোধ নিরসেন সামাজিক ভাবে বসেন। উক্ত সময় স্থানীয় সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ও মেম্বার ও গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের উপস্থিতে প্রতিপক্ষ আম্বর আলী, ইসমাইল, ইসহাক, ইয়াসমিন, ওমর আলী, শিল্পী আক্তার, শাহীনা আক্তার, রুবেল হোসেনসহ মুয়াজ্জিন শাহলমের স্ত্রীকে মারধর করেন।
এ বিষয়ে ভুক্তভোগী শাহলআলম বলেন আমি বাড়িতে ছিলাম না, সাবেক চেয়ারম্যান ও ইউপি সদস্য এ বিচার সালীশ বসিয়ে আমার স্ত্রীকে হেনস্তা এবং মারধর করে নিলা ফুলা জখম করে। পরবর্তীতে আমার আত্মীয় স্বজনরা তাকে উদ্ধার করে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে বাড়িতে নিয়ে আসে। আমি খবর পেয়ে দ্রুত আমার কর্মস্থল থেকে বাড়ি পৌঁছাই। তিনি জানান এঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে প্রশাসনের কাছে বিচার দাবি করেন।
এ বিষয়ে সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল ওহাবকে মুঠোফোনে ঘটনার সত্যতা জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমাদের সম্মুখে এ ঘটনা ঘটে আমরা স্থানীয় লোকজন তাদেরকে ঘটনাস্থল ত্যাগ করতে বলি, তারা চলে যায় আগামী দিন ২৯ তারিখ আবার সালীশ বসার জন্য তারিখ প্রদান করি।
সাবেক ইউপি মেম্বার জমাল হোসেন জানান তিনি উপস্থিত থাকাকালীন এ ঘটনা ঘটে নি। পরে এসে তিনি শুনেছেন।
এ ঘটনায় ০৬ নং আদ্রার বর্তমান চেয়ারম্যান কে মুঠোফোনে কল করলে তার ড্রাইভার ফোনে বলেন আমার স্যার ইউসুফ চেয়ারম্যান তিনদিন যাবৎ অসুস্থ আছেন, তিনি এ বিষয়ে কিছুই জানেন না, যার কারনে তার বক্তব্য নেওয়া যায় নি।
নাঙ্গলকোট থানার উক্ত ঘটনার বিষয়ে জানতে চাইলে ওসি তদন্ত জানান, এ বিষয়ে থানায় কেউ অভিযোগ দেয় নি। তবে অভিযোগ করতে আসলে মামলা গ্রহন করা হবে।