জমিতে কৃষি কাজ করার সময় সাত বছরের কন্যা শিশু কথা না শুনায় গলায় দা দিয়ে আঘাত করে বাবা। মুহুর্তে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে শিশুটি। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে না ফেরার দেশে চলে যায় মারিয়া সুলতানা (৭)। পরে লাশটি মাটিতে পুঁতে রাখে বাবা। বাড়ি এসে মেয়েকে খুঁজে পাচ্ছে না বলে।
এলাকায় মাইকিং করা হয়। ঘটনাটি ঘটে গত শুক্রবার (১১ অক্টোবর) সকাল ১০.০০ মিনিটে কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলার পূর্ব জোড়কানন ইউনিয়নের নির্ভয়পুরের আদর্শ গ্রামে। এই গ্রামের তাজুল ইসলামের মেয়েই মারিয়া সুলতানা। গতকাল রবিবার (১৩ অক্টোবর ) সন্ধ্যায় ওই এলাকার ধানের জমি থেকে বিজিবির সহায়তায় লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। ঘাতক বাবাকে আটক করে পুলিশে সোর্পদ করে এলাকাবাসী। পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গত শুক্রবার সকালে মেয়ে মারিয়া সুলতানাকে সাথে নিয়ে ধানের জমিতে বাবা তাজুল কাজ করতে ছিলো। মেয়েকে কি যেনো একটা আনতে বলে। মেয়ে কথা না শুনায় দা দিয়ে আঘাত করে বাবা। এ আঘাতটি গলায় লাগলে সাথে সাথে জমিতেই মেয়েটি লুটে পড়ে। পরে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে শিশুটি মারা যায়। ঘটনাটি যাতে বাড়িতে না জানে এ জন্য বিষয়টি কাউকে না বলে ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করে বাবা । মেয়েকে পাওয়া যাচ্ছে না বলে মাইকিং করে নাটকও সাজায় বাবা। পরবর্তীতে ঘটনাটি তাজুল ইসলাম তার ছোট ভাইকে বললে ছোট ভাই বিষয়টি এলাকার লোকদের বলে দেয়। এরপরই ঘাতক তাজুল ভয়ে পালিয়ে যায়। পরে কুমিল্লা সদর দক্ষিন থানা পুলিশ অবগত হলে অভিযান চালিয়ে আসামি তাজুলকে গ্রেফতার করে। তার কথা অনুযায়ী রোববার ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ ও ব্যবহৃত দাটি উদ্ধার করা হয়।
এ বিষয়ে কুমিল্লা সদর দক্ষিণ মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মুহাম্মদ রফিকুল ইসলাম বলেন, ঘটনার বিবরণ অনুযায়ী আসামিকে আমরা গ্রেফতার করতে সক্ষম হই। আসামির দেখা মতে লাশটি উদ্ধার করি এবং যে দা দিয়ে হত্যা করেছে সেটিও উদ্ধার করা হয়।
মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে, ময়নাতদন্ত শেষে মারিয়ার লাশ তার স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে।