র্যাব ১১ সিপিসি ২, বিশেষ আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কুমিল্লা জেলার চৌদ্দগ্রাম থানার অন্তর্ভূক্ত জগমোহনপুর এলাকায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক সংলগ্ন খাবার হোটেলে মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে। অভিযানে মাদকসহ ০৭ জন মাদক ব্যবাসায়ীকে আটক করা হয়।
৩১ অক্টোবর ২০২৪ র্যাবের লে: কমান্ডার মাহমুদুল হাসান স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপত্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
আটককৃতরা হলো ১৷ চৌদ্দগ্রাম থানার জগমোহনপুর এলাকার মোঃ জসিম উদ্দিনের ছেলে মোঃ মাসুদ রানা(২৪), ২৷ একই থানার বুশতলা এলাকার আবুল কাশেমের ছেলে আব্দুল খালেক(১৯), ৩৷ চৌদ্দগ্রাম থানার ০২ নং বদরপুর এলাকার জাহাঙ্গীর আলমের ছেলে জাকির হোসেন(২৭), ৪৷ বরুড়া উপজেলার দেওড়া এলাকার আব্দুছ সাত্তারের ছেলে শরীফ হোসেন(৩৯), ৫৷ চৌদ্দগ্রাম উপজেলার নারায়ণপুর এলাকার ছায়েদ মিয়ার ছেলে পারভেজ(৩৫), ৬৷ চৌদ্দগ্রাম উপজেলার কেছকী মোড়া এলাকার মৃত আবুএ কাশেমের ছেলে নূর নবী(২৮), ৭৷ বি- বাড়িয়া জেলার সরাইল উপজেলার তেরকান্দা এলাকার আনোয়ার হোসেনের ছেলে মোজাহিদুল ইসলাম(১৯) দেরকে আটক করা হয়। এ সময় তাদের হেফাজত হতে ০১ কেজি গাঁজা ও ১৫ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করা হয়।
প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানা যায়, আটককৃত সাতজন দীর্ঘদিন ধরে কুমিল্লা জেলার চৌদ্দগ্রাম থানাধীন ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পার্শ্ববর্তী খাবারের হোটেল গুলোতে ট্রাকের ড্রাইভার ও হেল্পারদের নিকট মাদক বিক্রয় করে আসছিল। কিছু হোটেলের মালিক/ম্যানেজারগণ খাবার হোটেলের ব্যবসার সাথে সাথে মাদক ব্যবসার সাথেও জড়িত রয়েছে বলে জানা যায়। ট্রাকের চালকেরা খাবার খাওয়া এবং বিশ্রামের জন্য উক্ত খাবার হোটেল গুলোতে বিরতি নিয়ে থাকে। বিরতিকালে ড্রাইভার এবং হেলপাররা হোটেল গুলো থেকে মাদকদ্রব্য ক্রয় করে এবং সেবন করে। মাদক সেবী ট্রাকের ড্রাইভাররা নেশাগ্রস্থ অবস্থায় রাতে মহাসড়কে গাড়ি চালায়, যার পরিপ্রেক্ষিতে সাম্প্রতিক সময়ে মহাসড়কে সড়ক দূর্ঘটনার হার আশংকাজনক ভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। এরই প্রেক্ষিতে র্যা ব-১১, সিপিসি-২ গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করে এবং অভিযান পরিচালনা করে মাদক বিক্রয়কালে অবৈধ মাদক সহ আসামীদেরকে হাতেনাতে গ্রেফতার করে। মাদকের মতো সামাজিক ব্যাধির বিরুদ্ধে র্যা ব-১১ এর অভিযান অব্যাহত থাকবে। গ্রেফতারকৃত আসামীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন।