নিজস্ব প্রতিবেদক //
আজ ২০/০৬/২০২৪ বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ১২.০৫ মিনিটে কোতয়ালী থানায় উপস্থিত হয়ে বাদী মোঃ জয়নাল আবেদীন(৬০), পিতা-মৃত আলী আহম্মদ, স্থায়ী: ঠিকানা, গ্রাম- ছাওয়ালপুর (উত্তর পাড়া, বাজারের সাথে বাড়ী, ০৫নং পাঁচথুবী ইউপি) , থানা- কুমিল্লা কোতয়ালী, জেলা -কুমিল্লা, বিবাদী ১। খোরশেদ আলম(৪৫), ২। আলী আশ্রাফ(৫০), ৩। আলী আকবর(৪৮), ৪। লাইলী বেগম(৪০), ৫। শাহিনুর বেগম(৪০), ৬। মোঃ শাহিন(২৫), দের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন যে, উনার বড় মেয়ে ভিকটিম নুরজাহান বেগম (৩০/জখমী) ১ নং বিবাদীর সাথে বিবাহের পর তাদের সংসার দাম্পত্য জীবন ভালোভাবে কাটলেও বিগত কয়েক বৎসর যাবৎ যৌতুকের দাবীতে নুরজাহান বেগমকে শারিরীক ও মানসিক নির্যাতন করে আসতেছে। ভিকটিম নুরজাহান বেগম ভবিষ্যত সুখের আশায় বিবাদীদের সকল অত্যাচার নিপীড়ন নিরবে সহ্য করিয়া আসিতেছিল। এরই মধ্যে বাদী মোঃ জয়নাল আবেদীন(৬০), কয়েকবার বিবাদী মোরশেদ আলমকে আর্থিকভাবে সহায়তা করেন কিন্তু বিবাদীরা ইহাতেও ক্ষান্ত না হইয়া না হয়ে তাহার মুদি ব্যবসা বাড়ানোর কথা বলে নুরজাহান বেগম এর নিকট হইতে ৫,০০,০০০/-(পাঁচলক্ষ) টাকা যৌতুক চেয়ে শারিরীক ও মানসিক নির্যাতনে রাখে। গত ১৯/০৬/২০১৬ বুধবার সকাল বেলা সাক্ষী সুফিয়া বেগম বাদী মোঃ জয়নাল আবেদীন(৬০),কে ফোন করে আনায় যে, ভিকটিম নুরজাহান বেগমকে স্থানীয় লোকজনদের সহায়তায় আসামীদের বাড়ীর পাশে রাস্তা হইতে মূমূর্ষ অবস্থা উদ্ধার করে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। জয়নাল আবেদিন তার মেয়েকে হাসপাতালে পৌছে নুরজাহান বেগমকে মূমূর্ষ অবস্থায় চিকিৎসাধীন দেখতে পান এবং প্রাথমিক চিকিৎসার পর নুরজাহান বেগমকে কিছুটা সুস্থবোধ করলে। বাবা জয়নাল আবেদিন তার মেয়েকে জিজ্ঞাস করলে, তার মেয়ে জানায় ১৮/০৬/২০২৪ রোজ মঙ্গলবার রাতের বেলায় আমাকে (ভিকটিম) তাহার শ্বশুড় বাড়ীর লোকজন রাতের খাওয়া শেষে যে যার ঘরে ঘুমাতে চলে যায়। আশপাশের বাড়ীঘরের লোকজন ঘুমাইয়া যাওয়ার পর১৯/০৬/২০২৪ দিবাগত রাত ১২.৩০ মিনিটের সময় ০১ নং বিবাদী খোরশেদ আলম অপর বিবাদী আলী আশ্রাফ, আলী আকবর, লাইলী বেগম শাহিনুর বেগম ও শাহিনদের পরোচনায় ৫,০০,০০০/- (পাঁচলক্ষ) টাক যৌতুক দাবী করে বলে যে, ভিকটিম(নূরজাহান) যদি পিত্রালয় হইতে বিবাদীকে (খোরশেদ আলমকে) ব্যাবসা করার জন্য যৌতুকের টাকা এনে না দেয় তাহলে নুরজাহানকে তাহার সংসারে রাখিবে না। ভিকটিম নুরজাহান যৌতুকের টাকা এনে দিতে অপারগতা প্রকাশ করিলে বিবাদীরা সকলে ভিকটিম নূরজাহানকে এলোপাথারী কিল, ঘুষি, লাথি মারিয়া তাহার শরীরের বিভিন্ন স্থানে নীলা-ফুলা ও থেতলানো জখম করে। একপর্যায়ে হত্যার উদ্দেশ্যে বিবাদী আলী আশ্রাফ, আলী আকবর, লাইলী বেগম শাহিনুর বেগম ও শাহিন নুরজাহানকে ঘরের মেঝেতে শুয়াইয়া ধরে রাখে এবং নং ১ বিবাদী খোরশেদ আলম গরম খুন্তি দিয়া ভিকটিমের দুই পায়ের উরুতে, নিতম্বে, বাম গালে, গলায়, বাম হাতের তালুতে ও যৌনাঙ্গে ছ্যাঁকা দিয়া গুরুতর জখম করে। বিবাদীরা ভিকটিম নূরজাহানকে মারধর করিয়া চিকিৎসার ব্যবস্থা তো করেই নাই, উল্টো তাদের ঘরের ভিতর আটক করে রেখে দেয়। ভোরবেলা (নুরজাহান) ভিকটিম সুযোগ বুঝিয়া বিবাদীদের ঘর হইতে বাহির হয়। ভিকটিম বর্তমানে কুমিল্লা্ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে। বাদীর অভিযোগের প্রেক্ষিতে বিবাদীরা যৌতুকের জন্য মারধর ও গরম খুন্তি দ্বারা ছ্যাঁকা দিয়া গুরুতর জখম করার অপরাধ করিয়াছে বিধায় তাদের বিরুদ্ধে ২০০০ সালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন সংশোধনী ২০০৩; এর ১১(খ)/৪(২)(খ) ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে। রুজুকৃত মামলার উপর ভিত্তি করে ২০/০৬/২০২৪ বৃহস্পতিবার কোতয়ালী মডেল থানার একটি চৌকস টিম অভিযান পরিচালনা করে সকল বিবাদীদের মধ্য হইতে ০৩ জনকে গ্রেফতার করিতে সক্ষম হয়। গ্রেফতারকৃত আসামীদের বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হয়। ।
গ্রেৃফতারকৃত ব্যাক্তিরা হলো ১। শিমপুর (আলী আশ্রাফের বাড়ী, ০৪নং আমড়াতলী ইউপি) এলাকার মৃত সৈয়দ আলীর ছেলে আলী আশ্রাফ(৫০), ২। একই পরিবারের আলী আশ্রাফ এর স্ত্রী লাইলী বেগম(৪০) ৩। একই গ্রামে আলী আকবরের স্ত্রী শাহিনুর বেগম(৪০)
সর্বথানা কোতোয়ালি, জেলা, কুমিল্লা।
এজাহারভূক্ত পালাতক আসামীরা হলো ১। মৃত সৈয়দ আলীর ছেলে খোরশেদ আলম(৪৫), ২ । মৃত সৈয়দ আলীর ছেলে আলী আকবর(৪৮), ৩। আলী আশ্রাফের ছেলে মোঃ শহিন(২৫) সর্ব ঠিকানা ০৪নং আমড়াতলী ইউপি) ,থানা- কুমিল্লা কোতয়ালী, জেলা –কুমিল্লা।
উক্ত বিষয়ে কোতোয়ালি মডেল থানার পুলিশ জানান বাকি আসামিরা পলাতক রয়েছে, তাদের গ্রেফতার এর চেষ্টা চলছে।