ভোক্তাদের কথা মাথায় রেখে গত ১৫ সেপ্টেম্বর মুরগি ও ডিমের দাম নির্ধারণ করে দেয় সরকার। কিন্তু তার যেন প্রতিফলন নেই বাজারে। এলাকাভেদে ডজনপ্রতি ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৭০ থেকে ১৮০ টাকা এবং ব্রয়লার মুরগি ১৯০ থেকে ২০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। পাশাপাশি সোনালি মুরগির দামও ১০ টাকা বেড়ে ২৭০ থেকে ২৮০ টাকা হয়েছে। এতে নিম্নবিত্ত ও নিম্ন মধ্যবিত্তরা পড়েছেন চরম বিপাকে। সুখবর নেই সবজিতেও। গত সপ্তাহের চেয়ে আরও বেড়েছে দাম।
শুক্রবার (৪ অক্টোবর) একাধিক বাজার ঘুরে এসব চিত্র দেখা যায়। এছাড়াও মাংসের বাজারে ৭৫০ টাকা গুনতে হচ্ছে প্রতি কেজি গরুর মাংসের জন্য৷
বাজারে লাউ বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা পিস দরে৷ শশার কেজি ৮০ টাকা, কচুর লতি ৭০-৮০ টাকা কেজি, ঢেড়স ৬০ টাকা, পটল ৬০ টাকা, মুলা ৫০ টাকা, করলা ৮০ টাকা, উস্তা ৭০-৮০ টাকা, চিচিঙ্গা ৬০ টাকা, কাকরোল ৮০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। একই দামে বিক্রি হচ্ছে বেগুন।
সবচেয়ে কম দামে মিলছে পেঁপে। কেজি ২০ টাকা। এছাড়াও সবজির মধ্যে সবচেয়ে চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে টমেটো। প্রতি কেজির জন্য ক্রেতাকে গুনতে হচ্ছে ১৬০ টাকা।
দুই সপ্তাহ আগেও ২৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হওয়া কাঁচা মরিচ এ সপ্তাহে বিক্রি হচ্ছে ৩০০ থেকে ৩২০ টাকা কেজি দরে। বিক্রেতারা জানিয়েছেন, টানা বৃষ্টির কারণে কাঁচা মরিচের দাম বেড়েছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, বাজারগুলো শাক-সবজিতে ভরপুর। দোকানিরা বেগুন, শসা, পটল, বরবটি, কচুর লতি, ঢ্যাঁড়শ, কাঁকরোল, পেঁপে, করলা, শিম, গাজর, মুলা, ফুলকপি ও বাঁধাকপির পসরা সাজিয়েছে বসেছেন। তবে কোনটার দামই নাগালে নেই।
তবে ব্যবসায়ীদের দাবি, সম্প্রতি বন্যায় ও টানা বৃষ্টিতে নষ্ট হয়ে গেছে ফসলের ক্ষেত। এতে বাজারে সরবরাহ কম থাকায় সবজির দাম বেড়েছে।
পেঁয়াজ রপ্তানিতে ভারতের শর্ত শিথিল ও শুল্ক কমানোর পর দেশে পেঁয়াজের দাম কিছুটা কমেছে। আগে যে পেঁয়াজ ১২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হতো, তা এখন ১১০ থেকে ১১৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
এইদিকে পাইকার ব্যবসায়ীরা বলছেন, নিমসার বাজার হতে আমরা পাইকারি দরে কাঁচা সবজি ক্রয় করে থাকি কিন্তু সেখানেও চড়া দাম।
বাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের এমন দামে হতাশ ক্রেতারা। তারা বলছেন, সরকার বদলেছে, তবে বাজার সিন্ডিকেট একই আছে। আর সিন্ডিকেটের কবলেই জিম্মি ভোক্তার পকেট। এ অবস্থা থেকে যেন আর পরিত্রাণ নেই!