ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলায় বিভিন্ন পূজামণ্ডপ পরিদর্শনকালে ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি আওলাদ হোসেন বলেন, আতঙ্ক সৃষ্টি করতে নয়, আতঙ্ক দূর করতেই পুলিশ। পুলিশ জনগণের বন্ধু হয়ে থাকবে। জনগণকে নিয়েই কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করতে হবে।
শনিবার (১২ অক্টোবর) সন্ধ্যার পরে ভাঙ্গা বাজারের কালিবাড়ি পূজামণ্ডপ ও বাজার পূজামণ্ডপ পরিদর্শনকালে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, আমার কড়া নির্দেশনা রয়েছে পুলিশ কোনো আসামি ধরতে গেলে আসামির লোকেরা যেন জানতে পারেন কে ধরে নিয়ে যাচ্ছে, তা নিশ্চিত হতে হবে। অবশ্যই পুলিশকে পরিচয় দিতে হবে, প্রয়োজনে মোবাইল নম্বর দিয়ে আসতে হবে। যেন আসামির স্বজনরা বুঝতে পারেন পুলিশ ধরে নিয়ে গেছে বা কোনো আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ধরেছে। সন্ত্রাস দমন করতে পুলিশকে আসামি ধরতেই হবে। তবে পরিচয় ছাড়া কোনো আসামি ধরা যাবে না। আসামির লোকজন যেন মনে না করেন যেন তাকে গুম করা হয়েছে। এই সুযোগ আর দেওয়া হবে না।
তিনি আরও বলেন, আমাদের মূল চেতনা হচ্ছে- আমরা বাংলাদেশের নাগরিক। আমাদের দেশে যার যার ধর্ম সেই সেই পালন করবেন নির্বিঘ্নে। দিন শেষে সবাই ভাই ভাইয়ের মতো চলাফেরা করবেন- এটাই আমাদের প্রত্যাশা। হিন্দুদের ধর্মীয় বড় উৎসব এই দুর্গাপূজা নির্বিঘ্নে পালন করার জন্য আপনাদের নিরাপত্তা দিতে প্রায় দেড় মাস ধরে পুলিশ নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। আপনাদের মুখে সন্তোষ প্রকাশের খবর শুনে এবং আপনাদের সঙ্গে দেখা করতে পেরে ভালো লাগছে।
এ বিষয়ে ভাঙ্গা উপজেলার পূজা উদ্যাপন কমিটির সভাপতি বাবু জগদীশচন্দ্র মালো পচা পুলিশের ভূমিকায় সন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, আমরা ভাঙ্গার হিন্দুরা কোনো দিন পুলিশের অতিরিক্ত ডিআইজি ও ডিআইজির পদার্পণ পাইনি। এ বছর সার্বক্ষণিক পুলিশ ও বিএনপির নেতাকর্মীদের সহযোগিতা পেয়ে নির্বিঘ্নে পূজা উদ্যাপন করতে পেরে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করছি। আপনাদের পাশে পেয়ে আমরা কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি।
এ সময় তার সফরসঙ্গী হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি সরোয়ার হোসেন, মাদারীপুর জেলার পুলিশ সুপার ও ফরিদপুর জেলার পুলিশ সুপার এমএ জলিল।
এ ছাড়া স্থানীয়ভাবে উপস্থিত ছিলেন ভাঙ্গা উপজেলা জাতীয়তাবাদী দলের সভাপতি ও সাবেক স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি আলহাজ খন্দকার ইকবাল হোসেন সেলিম। পৌর বিএনপির আহ্বায়ক মিজানুর রহমান পান্না, পৌর বিএনপির সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ওয়াদুদ মিয়া, যুগ্ম সম্পাদক ফজলে সোবাহান শামীম, মিজানুর রহমান মুন্সী, ওসমান মুন্সী, পৌর বিএনপির বিটু মুনসী, উপজেলা কৃষক দলের সভাপতি সাইদ মুন্সী, সাধারণ সম্পাদক সামাদ খন্দকার, পৌর কৃষক দলের সভাপতি আলম মুন্সী, সাধারণ সম্পাদক জাকারিয়া মুন্সী প্রমুখ।